সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন: প্রশাসনিক গাফিলতিতে বারবার একই জায়গায় দুর্ঘটনার অভিযোগে সোমবার সকালে বোলপুর-ইলামবাজার রাস্তায় মহিদাপুর গ্রামে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা সংস্কার করার সঙ্গেই শ্রীনিকেতন থেকে গোপালনগর গ্রাম পর্যন্ত কয়েকটি কালভার্ট করা হচ্ছিল। কিন্তু অর্ধেক হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে এগুলির নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে রাস্তার উপরেই বালি পাথর সহ লোহার রড বিপজ্জনকভাবে পড়ে রয়েছে। ফলে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, বাড়ছে দুর্ঘটনা। তার উপর রাস্তার ধারে বাতিস্তম্ভ না থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। পূর্ত দপ্তর বা প্রশাসন ওই জায়গায় কোনও বিপদ সংকেত বা সর্তকতাজনিত বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। গ্রামবাসীদের দাবি, মাসখানেকের মধ্যেই এই জায়গায় আটটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ বোলপুর থেকে ইলামবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন দুই বাইক আরোহী। কালভার্টটি বুঝতে না পেরে তাঁরা সজোরে ধাক্কা মারেন। গুরুতর জখম অবস্থায় রাতেই তাঁদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন কালভার্ট সমস্যার সুরাহার দাবিতে পথ অবরোধের শামিল হন কয়েকশো মানুষ। মহিদাপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ নফিজুল বলেন, দীর্ঘ ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে কালভার্টগুলি অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে আমাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। প্রায়দিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ফল না মেলায় এদিন আমরা পথ অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি। খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।
দীর্ঘক্ষণ অবরোধ থাকার ফলে ব্যস্ত রাস্তার দুই দিকে সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বোলপুর থানার পুলিস। তারা প্রাথমিকভাবে অবরোধ তোলার চেষ্টা করলেও গ্রামবাসীরা তা মেনে নেননি। তাঁরা এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে জানান। পরে পুলিসের মধ্যস্থতায় বোলপুর মহকুমা শাসকের সঙ্গে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলে প্রায় দু’ঘণ্টা পর অবরোধ উঠে যায়।
বোলপুরের মহকুমার শাসক অভ্র অধিকারী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর। তাই পূর্ত দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব কালভার্টগুলি মেরামত করা হবে।