কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দফরপুরের বাসিন্দা ওই ছাত্রী এদিন সকালে সাইকেলে চেপে টিউশনিতে যাচ্ছিল। সকাল ৭ নাগাদ অনন্তপুর-মেহেদিপুর রাজ্য সড়কে মেহেদিপুরগামী পণ্য বোঝাই একটি লরি পিছন দিক থেকে সাইকেলে ধাক্কা মারে। ছাত্রীটি রাস্তায় ছিটকে পড়লে সামনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। দুর্ঘটনার পর লরিটি গতি বাড়িয়ে বহরমপুরের দিকে পালিয়ে যায়। পরে বহরমপুরে লরিটি আটক করা হলেও চালক পলাতক।
এদিকে ছাত্রীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। মৃতদেহ রাস্তায় রেখে শুরু হয় অবরোধ-বিক্ষোভ। এলাকার বাসিন্দারা লরি, বাস, ট্রেকার সহ বেপরোয়াভাবে যান চলাচলের প্রতিবাদে সরব হন। এদিকে, ছাত্রীর মৃত্যুতে এদিন দফরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধ থাকে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাবলু মণ্ডল বলেন, মেয়েটি সাইকেলে চেপে টিউশনিতে যাচ্ছিল। তখন মেহেদিপুরগামী একটি লরি পিছন থেকে ধাক্কা মারলে মেয়েটি সাইকেল সহ রাস্তায় পড়ে যায়। তারপরই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়।
ঘটনার অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী দিলীপ মণ্ডল বলেন, আমি বহরমপুরের বাসের জন্য বাসস্টপে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ দেখি, একটি লরি প্রচণ্ড গতিতে সাপের মতো এঁকেবেঁকে অনন্তপুর থেকে মেহেদিপুরের দিকে যাচ্ছে। দফরপুর বাসস্টপের কাছেই লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইকেলের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। মেয়েটি রাস্তায় বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়লে লরিটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ধাক্কা মারার পরেও লরিটি যদি দাঁড়িয়ে পড়ত, তাহলে মেয়েটি বেঁচে যেত।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, অনন্তপুর-মেহেদিপুর রাজ্য সড়ক দিয়ে দিনরাত সবসময় যান চলাচল করে। অথচ এই ব্যস্ত রাজ্য সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য কোথাও কোনও ট্রাফিক পুলিস থাকে না। ফলে পণ্যবাহী লরি, ট্রাক থেকে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেকার বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। রাজ্য সড়ক দিয়ে যানবাহন বেপরোয়া গতিতে চলাচলের জন্যই মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছে এবং কখনও কখনও মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটছে। ট্রাফিক পুলিস দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিসের কাছে একাধিকবার দরবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ট্রাফিক পুলিস দিলে এভাবে ছাত্রীর মৃত্যু হতো না। দুর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসন এবং পুলিস আশ্বাস দিয়ে যায়। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয় না।
নবগ্রাম থানার পুলিস জানিয়েছে, লরিটি ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সক্ষম হলেও বহরমপুরে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক। ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ট্রাফিক পুলিস মোতায়নের ব্যাপারে উপর মহল সিদ্ধান্ত নেবে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।