পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার ময়ূরেশ্বরে সভা করতে আসছেন অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার সন্ধ্যায় ষাটপলশা দলীয় কার্যালয়ে তারই প্রস্তুতি মিটিং করছিল তৃণমূলীরা। তৃণমূলের ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকের সভাপতি আশিস চন্দ্র বলেন, ওরা আচমকা এসে কার্যালয়ে হামলা চালায়। তৃণমূল কর্মীরা বেরিয়ে এলে বিজেপি সমর্থকরা জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে বিক্ষোভ শুরু করে। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কার্যালয়ের বাইরে থাকা একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মারধরের ফলে তৃণমূলের ছ’জন আহত হয়েছেন। তাঁদের বাসুদেবপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
তৃণমূলের বুথ সভাপতি মানস ঘোষ দাবি করেছেন, রাতে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বিজেপির লোকজন। এদিকে, গভীর রাতে গ্রামে অভিযান চালায় পুলিস। এলাকার বিজেপি কর্মী আনন্দ মণ্ডল বলেন, কাটমানির টাকা আদায়ের দাবিতে চারদিকে আন্দোলন চলছে। সেই আন্দোলনের মোকাবিলা করতে বহিরাগতদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে মিটিং করছিল তৃণমূলীরা। আমরা জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলতেই ওরা কটুক্তি করে। এনিয়ে বচসা থেকে মারামারি শুরু হয়। ওদের কার্যালয়ে ভাঙচুর বা আগুন ধরানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি। এলাকাবাসীর দৃষ্টি ঘোরাতে নিজেরাই ভাঙচুর করে, আগুন ধরিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাতে চাইছে। যদিও রাতেই এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানায় তৃণমূল। পুলিস রাতে অভিযান চালিয়ে ছয় বিজেপি সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। বিজেপির দাবি, তল্লাশির নামে তাঁদের সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে পুলিস। শেরুনিয়া গ্রামের তাঁদের এক সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ওই সমর্থককে ধরে নিয়ে যায় পুলিস। অন্যদিকে, বৈদ্যনাথ প্রামাণিক নামে এক বিজেপি সমর্থক বলেন, আমার ছেলে বিএ প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করে। রাতে পুলিস এসে দরজা খুলিয়ে তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। অন্যদিকে, বিজেপির যুবমোর্চার নেতা অনঙ্গদেব মণ্ডল বলেন, ষাটপলশা হাইস্কুলের রাঁধুনি প্রদীপ ভল্লা খুনের ঘটনায় যারা প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছিলেন, পুলিস বেছে বেছে সেই সমস্ত বাড়িতে তল্লাশির নামে ভাঙচুর চালিয়েছে। ঘটনার জেরে এলাকা থমথমে। নতুন করে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য এলাকায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিস। জেলার পুলিস সুপার শ্যাম সিং বলেন, ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।