বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন ফরিদপুর থানার প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কাটমানি ফেরতের দাবিতে এলাকার তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারী গন্ধেশ্বরী বাদ্যকর ও ভোম্বল বাদ্যকর বলেন, বাড়ি তৈরির জন্য সরকার থেকে ৪৫ হাজার টাকা করে পেয়েছিলাম। ওই নেতা ভুল বুঝিয়ে আমাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা কারও কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা কেটে নিয়েছেন। সম্পূর্ণ টাকা না পাওয়ায় আমাদের ঘর তৈরির কাজও অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের প্রাপ্য টাকা আমরা ফেরত চাইতে এসেছি। কিন্তু ওই নেতা বাড়িতে তালা দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। যদিও তৃণমূলের প্রতাপপুর অঞ্চল সভাপতি অশোক কুমার গোস্বামী বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কাটমানির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এটি একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ।
এদিকে একই দাবিতে এদিন আউশগ্রামের পাণ্ডুক গ্রামে এক তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে জড়ো হন গ্রামবাসীরা। তিনি ১০০ দিনের কাজে ও আবাস যোজনায় কয়েক লক্ষ টাকা কাটমানি আদায় করেছেন বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। চাপে পড়ে ওই তৃণমূল নেতা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুচলেকা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আউশগ্রাম-২ ব্লকের রামনগর অঞ্চলের পাণ্ডুক গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বলবাবু দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের ২৯ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি পদে রয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওই বুথে প্রায় ৪০০-৪৫০টি পরিবারের জবকার্ড রয়েছে। প্রায় দু’বছর কাজের ১২ দিনের মজুরি তাঁদের দেওয়া হয়নি। উজ্জ্বলবাবুই ওই বুথের সরকারি যাবতীয় উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ পরিচালনা করতেন। তাই তিনি ওই টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন। বিক্ষোভকারী নয়ন বাউড়ি, নিমাই মাজির অভিযোগ, গ্রামের আবাস যোজনার উপভোক্তাদের কাছ থেকে কাটমানি নিয়েছিলেন তিনি। উপভোক্তারা চাপে পড়ে তা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। যদিও উজ্জ্বলবাবু বলেন, আবাস যোজনায় দলের স্বার্থেই টাকা নেওয়া হয়েছিল। দলের কর্মসূচির খরচ চালানোর জন্যচ ওই টাকা ব্যিবহার করা হতো।
যদিও টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আউশগ্রাম-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ। ওগুলো কাটমানি নয়। দল চালাতে আমাদের কখনও কখনও ১০০০-২০০০ টাকা চাঁদা স্বরূপ স্বেচ্ছায় অনেকে দিয়েছিল। কিন্তু বিজেপি কিছু মানুষকে বিভ্রান্ত করে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছে। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে যদি কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে তাঁরা বিডিওর কাছে অভিযোগ করুন। প্রশাসন তদন্ত করে তার উপযুক্ত ব্যকবস্থা গ্রহণ করবে।