রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কলকাতার এনআরএস হাসপাতাল কাণ্ডের সময় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা সরব হন। ওই সময়ই জেলা পুলিস হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাঙ্গা করার উদ্যোগ নেয়।
পুলিস ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে একটি পুলিস ক্যাম্প রয়েছে। সেই ক্যাম্পে দু’জন অফিসার এবং ১৫জনের মতো ফোর্স সর্বদা থাকে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সময় থেকে হাসপাতালের পুলিস ক্যাম্পে ফোর্সের সংখ্যা বাড়ানো হয়। বর্তমানে ক্যাম্পে ৫২জন সিভিক ভলান্টিয়ার প্রায় ১২০জন ফোর্স এবং এসআই ও এএসআই মিলিয়ে ২৩জন অফিসার রয়েছেন। তিনতলা বিশিষ্ট হাসপাতালের মূল ভবনের একতলায় শিশু ও ফিমেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের সামনে দু’জন করে, দোতলায় মেল মেডিক্যাল ও ফিমেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডের সামনে দু’জন করে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। এরবাইরে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব, জরুরি বিভাগ সহ ১২টি স্থানে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল, বিকেল ও রাতে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি পরিদর্শন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করেন বহরমপুর থানার আইসি। তিনি এব্যাপারে ডিএসপির(সদর) সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে ডিএসপিকে নোডাল অফিসার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের যাবতীয় তথ্য মজুত রাখছে কর্তৃপক্ষ। তারা এব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি করার সময় কিংবা ছুটি নেওয়ার সময় রোগীর বা তাঁর আত্মীয়ের আধারকার্ড বা সচিত্র ভোটার কার্ডের জেরক্স কপি জমা দিতে হবে। এই বিজ্ঞপ্তি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সামনে সাঁটানো হয়েছে। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, অনেক সময়ই এখান থেকে রোগীরা না বলে অন্যত্র চলে যান। তাঁদের সম্পর্কে খোঁজ রাখতেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তাছাড়া, স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও প্রতিবেশী জেলা ও ভিনরাজ্যের কত মানুষকে এখান থেকে পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে, সেই পরিসংখ্যানও রাখার কাজ সহজ হয়েছে। হাসপাতালের সুপার ডাঃ দেবদাস সাহা বলেন, সুষ্ঠুমতো চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।