গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত দু’বছর ধরে বন্দরের তিনটি জেটির মধ্যে দু’টিতে বরফ পরিবহণের কাজ করে আসছেন বিজেপির ভারতীয় মজদুর সংগঠনের শ্রমিকরা। অন্যদিকে শ্রমিক সংখ্যা কম থাকায় একটি জেটিতে বরফ পরিবহণের ছাড়পত্র পেয়েছিল তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। অভিযোগ, চলতি মরশুমে সেই একটি জেটির পাঁচটি সারির দখল নিয়ে নেয় বিজেপির শ্রমিক সংগঠন। এতে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা কাজ হারান। শনিবার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের শ্রমিকরা জেটিটি দখলমুক্ত করতে গেলে অশান্তি বেধে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে সংশ্লিষ্ট রামনগর-১ ব্লক প্রশাসন। সমস্যা সমাধানের জন্য তারা সাতদিন সময় চেয়েছিল। কিন্তু, বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের নেতারা সেই প্রস্তাবে রাজি নয় জানিয়ে মাঝপথেই বৈঠক ছেড়ে চলে যান। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখেই শেষ পর্যন্ত প্রশাসন ১৪৪ধারা জারি করে।
বিজেপির দাবি, তৃণমূলের শ্রমিক সংখ্যা কম থাকা সত্ত্বেও তাদের পুরো একটি জেটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি নতুন শ্রমিক নিয়োগ করেই এই গোলমাল করেছে। বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক চন্দন দাস বলেন, তৃণমূল প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। আমরা আমাদের অধিকার ছাড়ব না। শঙ্করপুরের তৃণমূল নেতা তথা শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক দীনেশ নায়ক বলেন, বিজেপিই পরিকল্পিতভাবে মৎস্যবন্দরে বহিরাগতদের এনে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা রাজনৈতিকভাবেই এর মোকাবিলা করব।
পদাধিকার বলে বন্দর পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান তথা কাঁথির মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য বলেন, আগামী ২৬জুন অবধি এই ১৪৪ধারা জারি থাকবে। তারপর পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।