বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তবে সাময়িকভাবে এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এলেও অন্যান্য জায়গায় এই পরিস্থিতি তৈরি হলে তৃণমূল নেতা-কর্মী, সদস্যদের যথেষ্ট ভুগতে হবে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। যদিও তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি ও সিপিএমের ষড়যন্ত্র দেখছে।
অন্যদিকে, ইলামবাজারের পঞ্চায়েত প্রধানের গ্রাম সংসদ এলাকাতেই ১০০দিনের কাজে ভুয়ো মাস্টাররোল বানিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার এনিয়ে তদন্তে যান ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।
তৃণমূল ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, বিজেপির ইন্ধনে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা এসব করছে। আমাদের কর্মীদের হয়রানি করছে। আমরা বেনিয়ম বরদাস্ত করব না। কোথাও অভিযোগ না করে এই ধরনের হেনস্তাও মানব না। ১০০দিনের বেনিয়ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেনিয়ম হলে শাস্তি পাবে।
বিজেপির ইলামবাজার মণ্ডল সভাপতি শিবদাস ঘড়ুই বলেন, মানুষের ক্ষোভ তৃণমূল নেতা ও সদস্যদের উপর পড়ছে। নিজেদের সরকারি ন্যায্য টাকা পেতে কাটমানি দিতে হয়েছিল। কিন্তু এতদিন প্রতিবাদ করার সুযোগ পায়নি মানুষজন। এবার সুযোগ পেয়েই মানুষ রাস্তায় নেমেছে।
লোকসভা ভোটের পর থেকেই সরকারি কাজে বিনিয়ম নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকী, দলীয় কর্মীদের বেনিয়ম নিয়ে সতর্ক করছেন জেলা সভাপতি থেকে দলনেত্রী। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে কোনও রাখঢাক না রেখে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, কাটমানি নিয়ে থাকলে ফেরত দিন। কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠকে সেকথা বললেও তা যে তিনি ব্যাপক অর্থে বুঝিয়েছেন তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। আর এই ঘটনার কয়েকঘণ্টা পরেই অভিনব বিক্ষোভ দেখা গেল খোদ ‘কেষ্ট’র গড়েই।
মুখ্যমন্ত্রী বার্তার পরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইলামবাজার ব্লকের শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম বাউরির কাছে ১০০দিনের প্রকল্প এবং সরকারি বাড়ি তৈরির জন্য নেওয়া কাটমানি ফেরত চান। সেই সময়ে বিষয়টি কোনওরকমে এড়ানো গেলেও এদিন সকাল থেকেই নেতার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। তাঁদের দাবি টাকা ফেরত দিতেই হবে। উত্তম বাউরির বাড়িতে বিক্ষোভের পর বিক্ষোভের আঁচ পড়ে বুথ সভাপতি রাজীব আঁকুড়ের উপর। উত্তমবাবু বাড়ির বাইরে বের হলেও রাজীব বাড়ির বাইরে বের হননি। ক্ষোভ আরও বাড়তে থাকে। তখনই বিক্ষোভকারীরা বাড়ির গেটে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেয়। পরে পুলিসি হস্তক্ষেপে ঘেরাও ওঠে। কিন্তু তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, টাকা ফেরত না দিলে তাঁর জমিতে চাষ করবেন। এনিয়ে রাজীববাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি, তবে তাঁর স্ত্রী রূপা আঁকুড়ে বলেন, আমার স্বামী এসবের সঙ্গে যুক্ত নয়। একই দাবি উত্তমবাবুর ঘনিষ্ঠদেরও।
অন্যদিকে, ওই ব্লকেরই ইলামবাজার পঞ্চায়েতের নেলেগড় গ্রামে পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণকান্ত হাজরার নিজের গ্রাম সংসদেই একটি ড্রেন সাফাইয়ের ভুয়ো মাষ্টাররোল বানানোর লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে বিডিওর কাছে। বুধবার এনিয়ে এলাকায় তদন্তে যান বিডিওর প্রতিনিধিরা।
ইলামবাজারের বিডিও দেবদুলাল বিশ্বাস বলেন, শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামের ঘটনাটি মৌখিকভাবে শুনেছি। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে। আর নেলেগড়ের ঘটনায় এদিন তদন্ত করা হয়েছে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।