পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পাঁচবারের সংসদ সদস্য অধীরবাবু লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হওয়ার পর জেলার রাজনৈতিক অবস্থার গতিপ্রকৃতি কোন পথে গড়াবে তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। বহরমপুর থেকে কান্দি, লালবাগ থেকে ডোমকল, জঙ্গিপুর প্রতিটি মহকুমার চায়ের দোকান ও গ্রামের মাচার ঠেকে সর্বত্র অধীরবাবুর উত্থান ও জোট রাজনীতি নিয়ে আলোচনা চলছে। কেউ বলছেন, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের সবচেয়ে বেশি কড়া সমালোচনা করেন অধীরবাবু। তিনি তৃণমূলকে রুখতে গত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে জোটও করেছিলেন। তাতে সিপিএমের তেমন লাভ না হলেও কংগ্রেসের যথেষ্ট লাভ হয়েছিল। এখন রাজ্যে তৃণমূলের টলমল অবস্থা। তাই রাজ্যের মাটিতে কংগ্রেসকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর নেতৃত্বে আবার কংগ্রেস-সিপিএম হাত ধরতে পারে।
প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মহফুজ আলম বলেন, তৃণমূল বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলতে বসেছে। দলটি তাসের ঘরের মতো ভাঙছে। আর বিজেপির উত্থান শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় অধীরদা লোকসভায় দলনেতা হওয়ার পরই নিচুতলার কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মীরা ফের জোট চাইছেন। এখন থেকে দুই দলের জোট করে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে চাইছেন। কংগ্রেস নেতা হিসেবে আমিও তাই চাইছি। বিষয়টি অধীরদাকে বিস্তারিতভাবে জানানো হবে।
এদিকে, লোকসভার দলনেতা হওয়ার পর অধীরবাবুকে অভিনন্দন জানিয়েছে জেলা সিপিএম। ইতিমধ্যে জেলা সিপিএমের শীর্ষ নেতারা অধীরবাবুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলেও জানা গিয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, অধীরবাবু মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা। তিনি লোকসভার দলনেতা হওয়ায় আমরা খুশি। তবে, ফের কংগ্রেস-সিপিএমের জোট চেয়ে দুই দলের নিচুতলার কর্মীরা অনেকেই অনেক কথা বলছেন। বিষয়টি স্থানীয় নয়। কাজেই এব্যাপারে কিছু বলা সম্ভব নয়।
অনেকে আবার বলছেন, এবার লোকসভা ভোটে এই রাজ্য থেকে অধীরবাবু সহ মাত্র দু’টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। অধীরবাবু বিজেপিতে যেতে পারেন বলে ভোটের ফল প্রকাশের পর গুঞ্জনও ওঠেন। তিনি বিজেপিতে চলে গেলে রাজ্য থেকেই কংগ্রেস হয়তো ফিনিস হয়ে যেত। তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ ওই পদে বসিয়ে দলকে বাঁচিয়ে রাখল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা মহফুজসাহেব অবশ্য বলেন, বিজেপি ও অধীরদাকে নিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি অপপ্রচার। তৃণমূলের পাশাপাশি অধীরদা বিজেপিরও বিরোধী।
অনেকে আবার মনে করেন, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখন কংগ্রেস ধীরগতিতেই চলবে। যদিও, কংগ্রেস নেতা মহফুজসাহেব বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। জেলায় তাদেরকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না।