কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলার পুলিস সুপার শ্যাম সিং বলেন, আঁরোয়া গ্রামে বোমবাজি সহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, স্থানীয় অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গ্রাম আক্রমণ করে। আমাদের কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোঁড়ে, বাড়ি লুটপাট হয়েছে। গুমটি ভাঙচুর করেছে। আমাদের দু’জন কর্মী বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন।
দুবরাজপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্র বলেন, আমাদের কর্মীদেরই বাড়ি আক্রমণ করেছে বিজেপি। ওখানকার পঞ্চায়েত সদস্য কল্পনা দাসের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে গ্রামছাড়া করেছে। বিজেপি ওখানে আমাদের উপর চড়াও হচ্ছে।
লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন থেকেই দুবরাজপুর থানার পদুমার বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। খোসনগর থেকে আঁরোয়া বার বার খবরের শিরোনামে এসেছে। কিন্তু এদিনের ঘটনা সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর চারটে নাগাদ বিজেপি প্রভাবিত এই গ্রামে সংঘর্ষ ও উত্তেজনার ঘটনা শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ, এদিন ভোরে এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মুকুল মণ্ডলের নেতৃত্বে তৃণমূলের ৪০থেকে ৫০জনের দুষ্কৃতী বাহিনী গ্রাম আক্রমণ করে। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি এবং গুলি চালাতে থাকে। ঘর বাড়ি ছেড়ে পালাতে থাকেন সাধারণ মানুষজন। এমনকী পোলট্রি ফার্ম থেকে মুরগি লুটের মতো ঘটনাও ঘটে। গ্রাম থেকেই প্রতিরোধ শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়েই সিউড়ি, বোলপুর থেকে উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকরা বিশাল বাহিনী নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। জখম বিজেপি কর্মীদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, তৃণমূল অভিযোগ করে, ভোর থেকে তাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয় বিজেপি কর্মীরা। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি গৃহবন্দি করে রাখা হয়। পরে পুলিস গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
বিজেপি সমর্থক রুমা হাজরা বলেন, অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। বোমা, গুলি ছোঁড়া হচ্ছিল, আমরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলাম। তারপর বাড়ি লুট হয়েছে। এমনকী আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়া, মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল কর্মী মল্লিকা হাজরা বলেন, বিজেপি আমাদের থেকে গ্রামে ৪৪ভোট বেশি পেয়েছে। সেই থেকে আমাদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে। এদিনও আমাদের বাড়ি আক্রমণ করেছে।
প্রসঙ্গত, দুবরাজপুর থানার পদুমা অঞ্চল হল তৃণমূলের শক্ত দুর্গ। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, ওই এলাকায় শাসক শিবিরের আতঙ্কে মানুষ সন্ত্রস্ত থাকত। কিন্তু এমন অঞ্চলেও বিজেপি নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে লোকসভা ভোটে। এলাকা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে শাসক শিবিরের কিছু নেতা। অন্যদিকে, বিজেপিও রাজনৈতিক জমি হারাতে রাজি নয়। এনিয়েই শুরু হয়েছে সংঘাত। আঁরোয়া গ্রামে বিজেপি সমর্থকদের রেশন বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর এদিনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।