পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল। তবে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়ে এখনও কোনও সরকারি চিঠি পাইনি। এনিয়ে জেলার পুলিস সুপার শ্যাম সিংহকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।
লাভপুরের বিপ্রটিকুরি গ্রামের বাসিন্দা হরিচরণ হাজরা। তিনদিন আগে দুর্ঘটনায় পা ভেঙেছে। কিন্তু সেইসময় স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে চরম টালবাহানা চলায় বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসেননি। তবে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক সদর্থক হতেই আর দেরি করেননি হারিচরণবাবু। তিনি এদিন সাত সকালেই হাজির হন হাসপাতাল চত্বরে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রতিটি মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের মারধর করা অবশ্যই অন্যায়। তবে ডাক্তারবাবুরা আমাদের কথাও যেন ভাবেন। সমস্য মিটে গিয়েছে, খুব ভালো লাগছে। একইভাবে জট কাটার খবর পেয়েই বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চোখ দেখাতে এসেছেন বোলপুর লায়েক বাজারের সেরিনা বিবি। মাথার যন্ত্রণা নিয়ে ছুটে এসেছেন শ্যামলী দাস। বোলপুরে এই হাসপাতালে সকাল থেকেই রোগীদের লম্বা লাইন ছিল। একইভাবে সকালেই টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইন পড়েছিল সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও। সেখানে ঝাড়খণ্ডের বহু রোগীকে দেখা যায়। ঝড়খণ্ডের বাসিন্দা শিবু সরেন বলেন, আমরাও চিন্তায় ছিলাম কখন সব স্বাভাবিক হবে। সব মিটে যেতেই ভাইকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। রাজনগরের ধীরু বাগদি বলেন, তিনদিন ধরে জ্বর, কিন্তু ডাক্তার দেখবে কিনা বুঝতে না পেরে আসিনি, এদিন এসেছি। এদিন রামপুরহাটের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক ছিল।