কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে জঙ্গল মহলে দলের বিপর্যয়ের পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুবাবুকে পর্যবেক্ষক করেন। খড়্গপুর শহরেও দল বিজেপির চেয়ে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে। সামনেই বিধানসভার উপনির্বাচন। তারপরই পুরসভার নির্বাচন। রবিবার শুভেন্দুবাবু প্রতিটি ওয়ার্ডের বাছাই করা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে খড়্গপুর আসেন। কিন্তু, রাত হয়ে যাওয়ায় মাত্র ১২টি ওয়ার্ডের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পেরেছেন। শুভেন্দুবাবু বলেন, সবার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। আবার বসা হবে।
পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার বলেন, উনি আবার ২৪জুন আসবেন বলেছেন। সেদিন আরও কয়েকটি ওয়ার্ডের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়াও একদিন শহরে কর্মী সম্মেলনও করবেন বলে জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন অনেকে অনেকের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে অভিযোগ জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন, কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ শোনা হবে না। তবুও কোনও কোনও কর্মী চেয়ারম্যান সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। চেয়ারম্যান বলেন, আমি শুভেন্দুবাবুকে বলেছি, পুরসভার কোন ওয়ার্ডে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তাতে কী কাজ হয়েছে। তা খতিয়ে দেখা হোক। পাশাপাশি আমার কেন্দ্রীয় ফান্ডে কত টাকা রাখা আছে, তার মধ্যে কত টাকার কী কাজ হয়েছে, তাও দেখা হোক।
একটি ওয়ার্ডে রেলের জমিতে পার্ক তৈরি করা নিয়েও শুভেন্দুবাবুর সামনে কথা ওঠে। অভিযোগ, ওই পার্ক করতে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কোনওরকম অনুমতি ছাড়াই আরও কয়েক লক্ষ টাকাও নাকি খরচ করা হয়েছে। সেই টাকা চেয়ারম্যান দিচ্ছেন না বলে এক কাউন্সিলার অভিযোগ তোলেন। প্রসঙ্গত, রেলের কোনও অনুমতি না নিয়ে তাদের জমিতে পার্ক করায় রেল সেখানে নিজেদের বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে।