বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সিউড়ি-২ বিডিও শেখ আব্দুল্লা বলেন, আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে কড়া পদক্ষেপ নেব। সিউড়ি-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার নজরে নেই। তবে অবৈধ বালি বা মাটি ব্যবসার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও নেতার যোগ নেই। বক্রেশ্বর নদের পাশেই সিউড়ি-বোলপুর রাস্তার উপর রয়েছে হাট ইকড়া গ্রাম। অপরূপ সৌন্দর্য্য রয়েছে এই এলাকার। রাস্তার একপাশে রয়েছে বেহিড়া কালীমন্দির। অন্যদিকে জঙ্গল। তারই মধ্যে বক্রেশ্বর নদের বাঁধ এই এলাকার সৌন্দর্য্যের কারণে জেলার প্রথম ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প এখানেই গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা পরিষদ। কিন্তু, এই এলাকায় বারবার মাটি ও বালি লুটের অভিযোগ উঠছে। এদিন এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা যায়। নদের বালিঘাটে একটি বালিবোঝাই ডাম্পারকে আটকে বিক্ষোভে শামিল হন যুবক থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষ।
তাঁদের অভিযোগ, বক্রেশ্বর নদের উপর একটি বৈধ বালি ব্লক লিজ দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু সেই সীমানা অতিক্রম করেই বালি ব্যবসায়ীরা বালি তুলছেন। এমনকী, নদীগর্ভ ছাড়িয়ে তারা পার্শ্ববর্তী জমিতেও হাত দিচ্ছে। প্রথমে মাটি কারবারিরা জমি থেকে পলি তুলে নিচ্ছে। তারপর বালি ব্যবসায়ীরা অপরের জমি থেকে বেপরোয়া ভাবে বালি তুলছেন। ওরা এতটাই বেপরোয়া যে বালি তুলে বিশাল বিশাল গর্ত সৃষ্টি করছে। সেখানে গ্রামবাসী থেকে গবাদি পশুর দুর্ঘটনা ঘটছে। তাতেও অবশ্য তাদের কোনও হেলদোল নেই। এমনকী, নদের পাড়ও কেটে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নদের লাগোয়া সরকারি জঙ্গলের কাছেও বালি লুট করার অভিযোগ রয়েছে। তবে যুব সম্প্রদায়ের ক্ষোভের কারণ, পার্শ্ববর্তী গ্রামে খেলার মাঠকেও বালি কারবারিরা রেয়াত করছে না।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এনিয়ে সরব হলে রাতে বাড়িতে এসে হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু কী করে এতটা বেপরোয়া হচ্ছে এই মাটি ও বালি কারবারিরা? বাসিন্দাদের দাবি, শাসক শিবিরের একটা অংশের মদত রয়েছে এদের পিছনে। এবার একজোট হয়ে গ্রামবাসীরা আন্দোলনে নেমেছেন। তবে, প্রকাশ্যে না এলেও বিজেপি তাদের ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে বৈধ বালিঘাটের ম্যানেজারের দাবি, চালানের মেয়াদ ১৫ জুন শেষ হয়ে গিয়েছে। যদিও অবৈধ বালি তোলার কথা তিনি স্বীকার করেননি।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে রাস্তার উপর বক্রেশ্বর নদের ধারে অবস্থিত খ্যাতনামা ধর্মীয় স্থান বেহিড়া কালী মন্দির চত্বরেও বালি মাফিয়ারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। তাদের দাপটে বিপন্ন হয়ে উঠেছিল এই ধর্মীয় স্থান। সেই সময় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাদের উপর লাগাম টানা গিয়েছিল। এখন দেখার এই আন্দোলনের ব্যাপারে কতটা পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন।