বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিজেপি জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, এদিন তৃণমূলের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ সহ হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেছেন। গতকালের গরহাজিরা নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জোনাল অবজার্ভার তথা রাজ্য সহসভাপতি স্পষ্টভাবেই নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও যোগদান হলে মণ্ডল সভাপতি জেলা সভাপতিকে জানাবে, তারপর হবে। কিন্তু শনিবার যে যোগদান হয়েছে সেখানে মণ্ডল সভাপতি উপস্থিত ছিলেন না, তাই আমার থাকার প্রশ্নই উঠে না।
যদিও বিষয়টি মানতে চাননি ওই যোগদানের নেতৃত্ব দেওয়া বিজেপির জেলা সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই যোগদানের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই জানতেন মণ্ডল সভাপতি। তাঁর সম্মতি নিয়েই বিষয়টি করা হয়েছিল। এমনকী, জেলা সভাপতিকে জানানোর কথা তাঁরই। তবে তাঁকে দুই ব্লক সম্পাদক অনুষ্ঠানে হাজির না থাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে জানিয়েছিলেন।
বীরভূমের দু’টি লোকসভা আসনই নিজেদের দখলে রেখেছে তৃণমূল। কিন্তু লক্ষ লক্ষ ভোট পেয়ে যেন নতুন উদ্যম ফিরে পেয়েছে বিজেপি শিবির। ‘কেষ্ট’র গড় ভেঙে বিজেপির হাত ধরছেন তৃণমূল বিধায়ক থেকে নেতা-কর্মীরা। প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে এই যোগদান হচ্ছে। এদিনও মল্লারপুরের একটি বেসরকারি লজে তৃণমূলের টিকিটে জেতা ময়ূরেশ্বর-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন ভূমি ও বন কর্মাধ্যক্ষ আমিরুল ইসলাম ও প্রাক্তন বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ আব্বাসুদ্দিন শেখ সহ বহু কর্মী-সমর্থক যোগদান করেন। বিজেপির দাবি, এদিন দেড়হাজার কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদিন তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন খোদ জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। হাজির ছিলেন মণ্ডল সভাপতিরা। এখান থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। শনিবারও মল্লারপুরে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান হয়। এমনকী, একটি পঞ্চায়েত তৃণমূল থেকে বিজেপিতে চলে আসে। এতবড় অনুষ্ঠানে মণ্ডল সভাপতিকে দেখা যায়নি, জেলা সভাপতির অনুগামী কোনও নেতাকেই দেখা যায়নি। এদিন তা নিয়ে জানতে চাইলে মুখ খোলেন জেলা সভাপতি। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, মনিরুল ইসলামের যোগদান নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল। এবার মল্লারপুরের যোগদান নিয়েও বিজেপি দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল। ভোটের আগে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার সামনে এসেছিল। এমনকী, বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে রাজ্য সভাপতিকে চিঠিও দিয়েছিলেন জেলার বেশ কিছু তাবড় নেতা, তারমধ্যে ছিলেন অতনু চট্টোপাধ্যায়ও। তবে ভোটের সময় এই দ্বন্দ্ব ধামাচাপা পড়ে যায়। প্রচুর ভোট পাওয়ার পরও এনিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করেনি। কিন্তু মল্লারপুরে যোগদান পর্ব বিজেপির অস্বস্তি বাড়াল।