রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সিউড়ি-২ ব্লকের অবিনাশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিশপুরে গ্রামের বিজেপি কর্মী খোকন শেখকে রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করে পাড়ুই থানার পুলিস। তার বিরুদ্ধে চুরি ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তবে, বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়, বিনা অপরাধে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিস। তাই এদিন সকাল ৮টা থেকে পাড়ুই থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। থানার গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তাঁরা। বিজেপি দাবি করে, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের কর্মীকে না ছাড়া হবে ততক্ষণ এই কর্মসূচি চলবে। প্রায় দু’ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর পুলিসের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়।
এব্যাপারে সিউড়ি-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, যারা এলাকায় চোর ডাকাত বলে পরিচিত, তারা এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করলে, বিজেপি বাধা দিচ্ছে। বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।
যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতা শেখ সামাদ বলেন, বিজেপি করলেই বিনা অপরাধে পুলিস তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে। তৃণমূলের তরফ থেকে চাপ দিয়ে বিজেপি ছাড়তে বলা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই।
অন্যদিকে, এদিনই দুপুরে তৃণমূল ও বিজেপির বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাড়ুই থানার সাত্তোর গ্রাম। দু’পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের গ্রাম কমিটির সদস্য রায়হান শেখের বাড়ি লক্ষ্য করেও বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা দাবি করে, তাদের গ্রাম ছাড়া করতেই বোমা নিয়ে আক্রমণ করে তৃণমূল। বোমাবাজির খবর পেয়ে এলাকায় আসে পাড়ুই থানার পুলিস। পুলিসের সামনেই একে অপরের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিজেপি ও তৃণমূল সর্মথকরা। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিস।
তৃণমূলের গ্রাম কমিটির সদস্য রায়হান শেখ বলেন, এলাকা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। তাই বোমাবাজি করে গ্রামকে অশান্ত করতে চাইছে। আমার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। বিজেপির নার্গিস বিবি বলেন, আমাদের গ্রাম ছাড়া করতে চাইছে তৃণমূল। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া ও খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিস প্রশাসনকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা।