কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এব্যাপারে বাঁকুড়ার পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তার আমূল পরিবর্তন করা হচ্ছে। এতদিন হাসপাতালে পুলিস পিকেট ছিল। এবার আমরা ওই পিকেট উঠিয়ে স্থায়ী ফাঁড়ি গঠন করছি। এবার থেকে হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার জন্য একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিস আধিকারিকের নেতৃত্বে একাধিক সশস্ত্র পুলিস কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নামেন। ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ এবং পিজিটি মিলিয়ে প্রায় আড়াইশো জুনিয়র ডাক্তার রবিবারও কর্মবিরতি চালিয়ে যান। ফলে হাসপাতালের পরিষেবা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদিন ছুটি থাকায় আউটডোর বন্ধ ছিল। তবে ইন্ডোরে অচলাবস্থা জারি ছিল। এরইমধ্যে শনিবার হাসপাতালের ২২ জন অধ্যাপক-চিকিৎসক গণ পদত্যাগ করার ফলে অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়ে। আজ, সোমবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা ধর্মঘট ঘোষণা করায় বাঁকুড়া মেডিক্যালের আউটডোরেও চিকিৎসা না হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই বাঁকুড়া মেডিক্যালের একাধিক ওয়ার্ড থেকে অপেক্ষাকৃত কম সঙ্কটজনক একাধিক রোগী ছুটি নিয়ে চলে যাচ্ছেন। আউটডোরেও রোগীদের আনাগোনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। এই অবস্থায় আজ, সোমবার দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা ঝুঁকি নিয়ে আউটডোরে চিকিৎসার জন্য আসবেন না বলে ওয়াকিবহাল মনে করছে। এদিকে, এদিন বিকেলে অবস্থান মঞ্চে কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া জুনিয়র ডাক্তাররা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন। রোগীদের কথা মাথায় রেখে রক্ত দেওয়া হয় বলে ধর্মঘটীদের তরফে জানানো হয়। সোমবার থেকে অবস্থান মঞ্চে আউটডোরের রোগীদের চিকিৎসা করবেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, এদিন আমরা দফায় দফায় জেলার পুলিস কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করি। মেডিক্যাল কলেজ, হস্টেল এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে হাসপাতালের মূল গেটে ২৪ ঘণ্টার জন্য দু’জন সশস্ত্র পুলিসকর্মী মোতায়েন থাকবেন। প্রসূতি, শিশু বিভাগের সামনে পর্যাপ্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সহ একজন করে পুরুষ এবং মহিলা কনস্টেবল থাকবেন। আউটডোর এবং হাসপাতালের এমএসভিপি-র অফিসের সামনেও সিভিক ভলান্টিয়ার থাকবে। জুনিয়র ডাক্তার এবং ছাত্রদের হস্টেলেও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হবে। পুলিসের পাশাপাশি হাসপাতালের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ জন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। আরও ১০০ জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের অনুমোদন স্বাস্থ্য ভবনে চেয়ে পাঠানো হচ্ছে। রক্ষীর পাশাপাশি নতুন নতুন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। বর্তমানে ৮০টি ক্যামেরা রয়েছে। আরও ৭০টি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ক্যামেরার পাশাপাশি আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বাজানোর জন্য অ্যালার্মও থাকছে। এগুলি ধীরে ধীরে বসানো হবে।