রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন অনুব্রতবাবু কেতুগ্রাম ১ ও ২ ব্লকে দুটি কর্মিসভা করেন। গঙ্গাটিকুরিতে তিনি বলেন, আমরা সবুজসাথী প্রকল্পে ছাত্র-ছাত্রীদের সাইকেল দিয়েছি। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ২ টাকা কেজি দরে চাল দিয়েছি সাধারণ মানুষকে। বলুন আমরা কী ভুল করেছি। আপনারা ব্লকে যে সব অঞ্চলে হেরেছেন, সেখানে মিটিং মিছিল করুন। ভয়ে বাড়িতে বসে থাকবেন না। আগামী বিধানসভায় আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল আসন পেয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবেন।
এবার কেতুগ্রাম বিধানসভায় তৃণমূল লিড দিলেও বেশিরভাগ বুথে বিজেপির কাছে হেরেছে তারা। বিশেষ করে কেতুগ্রাম ২ ব্লকে একটি অঞ্চল ছাড়া বাকি সবকটিতে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে।
ভোটের আগে কেতুগ্রামের দুটি ব্লকেই দলীয় কর্মিসভায় অনুব্রতবাবু অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি থেকে ব্লক সভাপতিদের পর্যন্ত ভোটে লিড দিতে না পারলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। পর্যবেক্ষক হিসেবে ভোটের আগে এই বিধানসভা এলাকায় কর্মিসভা করে নেতাদের লিড দেওয়ার জন্য মুচলেকাও লিখিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেতুগ্রামে লিড বাড়ানো তো দূর, আগের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের থেকে আরও ছ’হাজার লিড কমে গিয়েছে। এবিষয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বের কাজকর্মকেই দুষছেন একাংশ। এবিষয়ে এদিন অনুব্রতবাবুকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এবার গোটা রাজ্যজুড়ে বেশ কিছু আসনে দলের ভরাডুবি হয়েছে। বিজেপি ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে ভোট করেছে। তাই কেতুগ্রামেও একই অবস্থা হয়েছে। তবে আবার আমাদের হারানো ভোট ব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধার করবেন দলের নেতারাই।
তিনি আরও বলেন, বিজেপি রাজ্যে কিছু আসন পেয়েছে বলে বেশি লাফালাফি করছে। ওদের এসবে কান না দিয়ে বরং অঞ্চলে অঞ্চলে গিয়ে জন সংযোগ করুন। তাঁদের সুখ, দুঃখ ভাগ করে নিন। অঞ্চলে গিয়ে দলীয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলুন। দেখবেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আবার আমরা রাজ্যে বিপুল ভোটে জিতব।