পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রাচীন কালনা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভাগীরথী নদী। অতীতে নদী পথের বাণিজ্যের কারণে স্থানীয় পাথুরিয়া মহল ও মহিষমদির্নীতলায় গড়ে উঠেছিল বানিজ্য বন্দর নদী ঘাট। বড় বড় মালবাহী বজরা ও নৌকা আসত সেখানে। নৌকা থেকে মাল ওঠানো নামানোর কাজ করতে ওড়িশা থেকে আসতেন মুটেরা। তাঁরাই ওই এলাকায় শুরু করেন নদী মাতা গঙ্গাদেবীর পুজো। এক সময় ওড়িয়া সম্প্রদায়ের লোকসংস্কৃতি সহ আলোর রোশনাইয়ে হতো শোভাযাত্রা। কয়েকদিন ব্যাপী আনন্দে মুখরিত থাকত ওই এলাকা। বর্তমানে সড়ক পথের উন্নতি হওয়ায় কাজ কমেছে মুটেদের। বর্তমানে ৮-১০ ঘর ওড়িয়া সম্প্রদায়ের মানুষ এলাকায় বাস করেন। তাঁরাই আজ তাঁদের পুরনো ঐতিহ্য মেনে পুজো করে আসছেন। বলিদান প্রথা রয়েছে।
পুজো কমিটির সদস্য কাবলি বিশাল, ত্রিনাথ সাউ বলেন, আমাদের বাবারাও এখানে মুটের কাজ করেছেন। এখন কাজের বাজার না থাকায় অনেকে চলে গিয়েছেন। আমরা কয়েক ঘর রয়ে গিয়েছি। কোনওরকমে এলাকার মানুষের আর্থিক সাহায্যে পুজো ধরে রেখেছি। এলাকার কাউন্সিলার সুনীল চৌধুরী বলেন, বহু পুরনো ওড়িয়াদের গঙ্গা পুজো। এক সময় ধুমধাম হলেও আজ তেমন আড়ম্বর নেই। কয়েকটি ওড়িয়া পরিবার কোনওরকমে টিকিয়ে রেখেছে পুজো। এছাড়াও কালনার ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী বালির বাজার, কাঠিগঙ্গা, খেয়াঘাট এলাকায় গঙ্গা পুজো হয়।