কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
সিউড়ি পুরসভার জল সমস্যা এবং তা নিয়ে দোষ পাল্টা দোষারোপে ছেদ পড়ার কোনও লক্ষ্মণই নেই। এবার সেই বিতর্কে ঢুকে পড়েছেন খোদ পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জল সমস্যা নিয়ে পুরসভার টালবাহানা এবং পুর কর্তাদের কর্মব্যর্থতা জেলাবাসীর কাজে সর্বজনবিদিত। কিন্তু খোদ পুরমন্ত্রী ২০১৫সালে লিফলেট বিলি করে শহরবাসীর জল সমস্যা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা না রাখতে পারায় মন ভেঙেছে শহরের। বিষয়টি উপলব্ধি করে রবিবার জেলায় এসে তা নিয়ে ক্ষমা চান কলকাতার ফিরহাদ। তিনি সব দোষ নিজে মাথা পেতে নেওয়ার পাশাপাশি কথা দেন, জলসমস্যা মেটাতে কলকাতার পুরসভা ও কেএমডির জলসরবরাহ বিভাগের বিশেষজ্ঞরা সিউড়ি যাবেন। তবে সোমবার কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরও এককদম এগিয়ে বলেন, আগামী সপ্তাহেই এই প্রতিনিধি দল যাবে, এতে শহরবাসী খুশি হলেও জল না পেয়ে সেই খুশির বহিঃপ্রকাশ করতে নারাজ তাঁরা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ২নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, এদের লজ্জা হয় না, বার বার জল সরবরাহ করার কথা নিয়েও কথা রাখতে পারে না। কোন মুখে ভোট চায়। পুরমন্ত্রীও একবার কথা দিয়ে কথা রাখেননি। তবে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই, কিন্তু না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বাস নেই। একই দাবি, দীর্ঘদিনের এক ব্যবসায়ীরও। তিনি বলেন, এটা শহরের লজ্জ্বা, আমাদের খারাপ লাগে। কিন্তু এখানকার নেতাদের এসব সমালোচনা গায়ে লাগে না।
তবে কলকাতায় গিয়ে পুরমন্ত্রী সিউড়ি পুরসভার তুলোধনা করেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, প্রকল্প মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট করলেও ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়া ব্যবস্থা করতে পুরসভাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এতে সিউড়ি পুরসভা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তবে আবার এই দায় নিজের কাঁধে না রাখতে পেয়ে বিতর্ক বাড়িয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান। তবে দায় এড়ানো সিউড়ি পুরসভার কর্তাব্যক্তিদের পুরনো অভ্যাস। বেশি পরিমাণ ক্ষমতা ও সুবিধা ভোগ করার জন্য এই পুরসভার নেতারা নিজেদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ রাজনীতি করতেই বেশি ব্যস্ত। ২০১৫সালে উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করার পর দলীয় কাউন্সিলারদের অনাস্থায় চেয়ারম্যান হন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। ফের তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে সক্রিয় হয় একটি অংশ। বছরভর তাঁদের এই সাপলুডোর খেলা চলে। শহরবাসীর আক্ষেপ, এসব না করে শহরের উন্নয়নের কথা ভাবলে জেলা সদরের রূপটাই অন্য হতো।