কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
আরামবাগের এসডিপিও কৃশানু রায় বলেন, সোদপুরে তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুর হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরশুড়ার সোদপুর পূর্ব মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার ধারেই রয়েছে তৃণমূলের ওই কার্যালয়। পুরশুড়া-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতৃত্ব সেই কার্যালয়ে বসেন। সেখানেই ওই রাতে দরজা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ঢুকে টিভি সহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ তৃণমূল নেতৃত্ব রাস্তা অবরোধ শুরু করে। সোদপুর বাসস্ট্যান্ডে সেই অবরোধের জেরে তারকেশ্বর-আরামবাগ রুটে যান চলাচল ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। সপ্তাহের প্রথম দিনে অফিস টাইমে অবরোধের জেরে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি বিরোধী স্লোগানও দেন। পরে পুলিস গিয়ে আশ্বাস দিলে রাস্তা অবরোধ মুক্ত হয়।
এদিনের কর্মসূচিতে দলের মাদার, যুব সংগঠনের অধিকাংশ নেতারাই ছিলেন। দলের পুরশুড়া ব্লকের আহ্বায়ক আবু হুড়াই, প্রকাশ খাঁ সহ যুব সভাপতি খোকন মল্লিক নেতৃত্ব দেন। খোকনবাবু বলেন, ওই রাতে দলের কার্যালয়ে ঢুকে টিভি ভাঙচুরের পাশাপাশি একটি মাইক সেট চুরি করে নিয়ে গিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাছাড়া দলের পতাকা, ফেস্টুনও ছিঁড়ে দেয়। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।
অন্যদিকে, প্রকাশবাবু বলেন, পুরশুড়া-২ পঞ্চায়েতের দলের সব স্তরের নেতা-কর্মীরা ওই কার্যালয়ে বসে কাজ করতেন। রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিজেপির লোকজন কার্যালয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। অবরোধে অ্যাম্বুলেন্স সহ প্রয়োজনীয় যানগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রকাশবাবুর দাবি, ঘটনার প্রতিবাদে আমরা এই অঞ্চলে মিছিল করব।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পুরশুড়া মণ্ডল সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সোদপুরে পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়েছে। বিজেপি এই ধরনের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না। আমাদের কর্মীদের নাম মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিস শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। তৃণমূলের এই নোংরামির জন্য মানুষ ভোটে তাঁদের রায় দিয়েছেন। এরকম চলতে থাকলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা ভোটে পুরশুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের কার্যত ভরাডুবি হয়েছে। সেখানে তৃণমূল ভোট পেয়েছে ৮১ হাজার ৯১৭টি। এছাড়া বিজেপি পেয়েছে ১লক্ষ ৭হাজার ৭৫৯টি। তৃণমূল বিজেপির থেকে ২৫ হাজার ৮৪২ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে। এদিকে, ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই পুরশুড়ায় অশান্তি লেগে রয়েছে। কিছুদিন আগেই পুরশুড়া-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ বাদশাকে কোপানোকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
তৃণমূলের আরামবাগ লোকসভার পর্যবেক্ষক দিলীপ যাদব বলেন, পুরশুড়ার কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ও সাংগঠনিক পদ্ধতিতে আমরা লড়াই করব।