কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
অনুব্রতবাবু বলেন, যেখানে এই দলবদল অনুষ্ঠান হয়েছে সেখানে দুশোর বেশি লোক দাঁড়াতে পারবে না। ওরা মিথ্যা কথা বলে প্রচার পেতে চাইছে। আর রামকৃষ্ণবাবু কর্মীদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার কথা বলছেন। উনি নিজে হাতে অস্ত্র তুলে না নিয়ে কেন কর্মীদের এগিয়ে দিচ্ছেন। লজ্জা লাগে না। বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে। তৃণমূলীরা রাস্তায় নামলে ওরা পারবে? এদিন দু-চারজন হয়তো গিয়েছে। তিনি, একটা লোককে বারবার জয়েন করাচ্ছে। এটা ভালো পলিসি। একজন জয়েন করছে তো বিজেপি নেতারা বলছেন, ওর নেতৃত্বে আরও ২০০ জন রয়েছে। এটা বিজেপির ভাঁওতার রাজনীতি। নাটক ছাড়া কিছুই নয়।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হলেও একাধিক এলাকায় শক্তি বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। যা শাসকের চিন্তা বাড়িয়েছে। দল ভাঙনের খেলাও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে থাবা বসিয়েছে বিজেপি। লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম ও জেলা যুব সভাপতি গদাধর হাজরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। একদিকে একাধিক বুথে হার, অন্যদিকে নেতারা দলবদল শুরু করায় চাপে পড়েছে শাসক শিবির। এই অবস্থায় রবিবার সিউড়ির রবীন্দ্রসদনে জেলা কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়ে কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন জেলা পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম। তারপরেও বীরভূমে দলের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল ও সিপিএম ছেড়ে বেশ কিছু কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যাঁদের অধিকাংশই তৃণমূলের বলে দাবি বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়ের। এদিন ফের বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই তৃণমূল ছেড়ে অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, বোলপুরের গ্রামীণ এলাকা সিঙ্গি, নুরপুর, বাহিরী, পাঁচশোয়া, কঙ্কালিতলা, আদিত্যপুর, বেজরা, প্রান্তিক সহ একাধিক গ্রাম থেকে ১৮০০ ও আহমদপুর এলাকা থেকে ১৫০জন মিলিয়ে ১৯৫০ জন তৃণমূল কর্মী এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। নেতা নয়, সাধারণ কর্মীদের দলে নেওয়া আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, একটা সময় ওঁরাই তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিলেন। বর্তমানে তাঁরা আশাহত। তৃণমূলে থেকে তাঁদের ক্ষতি হচ্ছে বুঝতে পেরে মোদির উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে শামিল হয়েছেন।
পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সদ্য যোগদানকারীদের রামকৃষ্ণবাবু নির্দেশ দেন, আপনারা নবান্ন অথবা কালীঘাটের ঠিকানায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে চিঠি দিন। তাতে লিখুন, জয় বাংলা, জয় হিন্দ বলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। সৌজন্যে জয় শ্রীরাম। পাশাপাশি তিনি যোগদানকারীদের উদ্দেশে বলেন, হাতে লাঠি, বাঁশ ও পাথর রাখবেন। কেউ আঘাত হানলে প্রতিশোধ নিতে হবে।
কেন তিনি এমন নির্দেশ দিলেন? উত্তরে রামকৃষ্ণবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর জয় হিন্দ ও জয় বাংলা স্লোগানকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। তাই ধন্যবাদজ্ঞাপন করে কর্মীদের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে চিঠি দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আর তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের দিয়ে আমাদের কর্মী সমর্থকদের আক্রমণ করা হচ্ছে। তাই কর্মীদের বলেছি, হাতের কাছে লাঠি, বাঁশ, পাথর রাখুন। তাহলে আক্রমণ প্রতিহত করতে পারবেন। তৃণমূলের সন্ত্রাস ঠেকানোর এটাই সহজ রাস্তা।