কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কয়েকদিন ধরেই বিজেপি আন্দোলনে নেমেছে। এদিন পঞ্চায়েত প্রধান অশোক ভট্টাচার্যর দপ্তরে এসে বিক্ষোভকারীদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা সেখানে জমায়েত হয়। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও পঞ্চায়েত প্রধান না আসায় তাঁর রণডিহার বাড়িতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চড়াও হয়ে ভাঙচুর করে। প্রধান বলেন, এসি সহ বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র ওরা ভেঙে দিয়েছে। বাড়ির পাশে ওষুধের দোকান ছিল। সেখান থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। এছাড়া ওরা আমার স্ত্রীর হাত ধরেও টানাটানি করে।
যদিও বিজেপি নেতা তপন বাগদি ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমাদের কর্মীরা কেউ ওঁর বাড়িতে ভাঙচুর করেনি। তবে ওঁর বিরুদ্ধে এলাকার অনেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। তাঁরা কিছু করতে পারেন।
বিজেপির দাবি, অনিয়ম ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই প্রধান অফিসে আসছেন না। ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের আরও অভিযোগ, চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের পূর্ব সংসদে সরকারি জমির উপর পুকুর খনন করা হয়েছে। মেশিন ব্যবহার করে ১০০ দিনের কাজ করা যায় না। কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা না করে সেটাই করা হয়েছে। পরে ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রধানের অনুগামীরা শ্রমিকদের জব কার্ড নিজেদের কাছে রেখে অনিয়ম করেছে। অধিকাংশ জায়গাতেই এরকম ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরি হয়েছে। তাছাড়া এই পঞ্চায়েত এলাকায় যাঁরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের অনেকে অভিযোগও করেছেন। তপনবাবু বলেন, গরিব লোকজনদের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সেকারণে জনরোষ তৈরি হয়েছে। এদিন প্রধানের পঞ্চায়েত অফিসে আসার কথা ছিল। তারপরেও তিনি আসেননি। গরিব মানুষের টাকা কেন আত্মসাৎ করা হল তার জবাব দিতে হবে।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে প্রশাসন সেটা তদন্ত করবে। পঞ্চায়েতে সব কাজের নথি আছে। সেসব দেখানো হবে। তারপরেও দোষ প্রমাণিত হলে আমার সাজা হবে। কিন্তু এভাবে ভাঙচুর করা তো ঠিক নয়। ওরা আমাদের দলের তিন কর্মীকেও বেধড়ক মারধর করেছে। থানায় অভিযোগ করব। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছি। গলসি-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওরা অভিযোগ বিডিও অফিসে জমা দিয়েছে। এবার তদন্ত হবে। কিন্তু এভাবে অশান্তি করার কোনও যুক্তি নেই। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে নিশ্চই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিডিও বিনয় কুমার মণ্ডল বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের আদৌ সত্যতা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে।