কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
এদিন নবদ্বীপের কলেজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কাটআউট রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত। ঘটনায় উভয়পক্ষের ছ’জন ছাত্র জখম হয়েছেন। ঘটনার পর টিএমসিপি পোড়ামতলায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে। টিএমসিপির চেয়ারম্যান সুজিত সাহা বলেন, বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কাআউট কলেজের বাইরে ফেলে দেয় এবিভিপির কর্মীরা। এক ছাত্র কাটআউটটি কুড়িয়ে আনতে গেলে এবিভিপির সদস্যরা হুমকি দেয়। তার প্রতিবাদ করলে টিএমসিপির সদস্যদের উপর হামলা হয়। পাল্টা অভিযোগে এবিভিপির সদস্যদের পক্ষে কৃষ্ণেন্দু সাহা বলেন, টিএমসিপির বেশকিছু সদস্য কলেজের লাইব্রেরির নীচে মাদক সেবন করছিল। তার প্রতিবাদ করতে গেলে ওরা আমাদের উপর আক্রমণ করে। তাতে আমি ও আমার এক সহপাঠী আহত হই। এদিন পুলিস আহতদের উদ্ধার করে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহত দুই এবিভিপি সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। টিএমসিপির চার ছাত্র চিকিৎসাধীন। কলেজের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক সমীরণ সেনাপতি বলেন, কলেজে ছাত্র সংঘর্ষ অনভিপ্রেত ঘটনা। আশাকরি খুব শীঘ্রই সকলে এই সমস্যার আশু সমাধানে সচেষ্ট হবেন। নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, আমরা কোনও গণ্ডগোল চাই না। ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে বিজেপি লাগাতার গণ্ডগোল করে চলেছে।
অন্যদিকে, সোমবার ভীমপুর থানার আসাননগর কলেজে টিএমসিপির সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটল। অভিযোগ, এবিভিপির সদস্যরা হামলা চালিয়েছে। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। টিএমসিপির জেলা সভাপতি সৌরিক মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এদিন কয়েকজন কলেজে যায়। তখনই এবিভিপি আচমকা হামলা চালায়। মোট সাতজন সমর্থক জখম হয়েছেন। এবিভিপির জেলা সভাপতি আশিস বিশ্বাস বলেন, নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে এই ঘটনা। ওদের উপর আমাদের কেউ হামলা করেনি।
এদিকে, কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের ছাত্র সংসদ কার্যালয় রবিবার রাতে ভাঙচুর করা হয়েছে। টিএমসিপির ইউনিট সভাপতি সুজয় হালদার বলেন, এদিন দুপুরে কলেজে এসে দেখতে পাই ছাত্র সংসদ কার্যালয় পুরোপুরি তছনছ হয়ে আছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। অন্যদিকে, এবিভিপির জেলা সভাপতি বলেন, আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য মিথ্যে অভিযোগ তুলছে টিএমসিপি।
অন্যদিকে, রানাঘাট কলেজের এবিভিপির এক ছাত্রকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপির বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে রানাঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া, অ্যান্টি-র্যা গিং সেল ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ফোন করে অভিযোগ করেন ওই ছাত্র। কলেজে গেলে ওই ছাত্রের মাকেও হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
দীপ্তরাজ সরকার নামে প্রথমবর্ষের ওই ছাত্র বলেন, কিছুদিন আগে টিএমসিপির কয়েকজন সদস্য এভিবিপি করার অপরাধে আমাকে বাঁশ দিয়ে মারধর করে। এরপর আমাকে কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন রুমে নিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি জোর করে আমাকে দেওয়ালে টাঙাতে বলা হয়। আমি তা অস্বীকার করলে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙাতে বাধ্য হই। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করতে বাধ্য করায়। পরীক্ষার হলে আমার খাতা সহ সমস্ত নথিপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। কলেজে রেজিস্টেশন সহ অন্যান্য কাজ করতে গেলে তাঁরা আমাকে কলেজে ঢুকতে বাধা দেয়।
এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি রানাঘাট উত্তর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শংকর সিংহকে সমাধান করার জন্য বলেছেন। এরপর শংকরবাবু রানাঘাট কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষকে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ বলেন, দীপ্তরাজ নামে রানাঘাট কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্র বিষয়টি আমাকে জানানোর পরেই আমি দু’পক্ষকে ডেকে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।