কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মহুয়া মৈত্র জয়ী হলেও কৃষ্ণনগর পুরসভা এলাকায় শাসক দলের চরম বিপর্যয় ঘটেছে। কৃষ্ণনগর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কেবলমাত্র লিড এসেছে। বাকি ২৩টি ওয়ার্ডে তৃণমূলের হার হয়েছে। শহর থেকেই বিজেপি ২৭ হাজার ভোট লিড নিয়েছে। যা তৃণমূল নেতাদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। দলের এই বিপর্যয় নিয়ে রবিবার রাতে কৃষ্ণনগর পুরসভার দ্বিজেন্দ্রলাল সভাগৃহে মহুয়া মৈত্র বৈঠক করেন। তিনি দলের কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক সভাপতি। ওই বৈঠকে প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার, ওয়ার্ড সভাপতি ও বুথ সভাপতিদের তিনি ডেকেছিলেন। কিন্তু বৈঠকে গরহাজির থাকলেন ছয় প্রাক্তন কাউন্সিলার। তাঁরা হলেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্বপন সাহা, ১৮নম্বর ওয়ার্ডের অনুপম বিশ্বাস, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রানু কুণ্ডু, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দিলীপ বিশ্বাস, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুপ্রভাত বিশ্বাস ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রীতা দাস।
এই ছয় প্রাক্তন কাউন্সিলারদের গরহাজিরা নিয়ে স্বপন সাহা বলেন, রেজুলিউশন খাতায় আমাদের আগেই সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে খাতায় পুরসভার জমিতে পেট্রল পাম্প নির্মাণের বিষয়টি ঢোকান প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা। পুরসভার জমিতে পেট্রল নির্মাণে আমাদের প্রবল আপত্তি রয়েছে। কাকে জমি লিজ দেওয়া হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। পেট্রল পাম্প নির্মাণ বন্ধের ব্যাপারে মহুয়াদেবীকে আমরা চিঠি দিয়েছি। পাশাপাশি রাজ্য পুরমন্ত্রী, মহকুমাশাসক ও জেলাশাসককেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পেট্রল পাম্প নির্মাণ বন্ধ হয়নি, তাই আমরা বৈঠকে যাইনি।
এমপি মহুয়া মৈত্রর এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএসের জবাব দেননি। পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা বলেন, ছ’জনের মধ্যে রানু কুণ্ডু জামাইষষ্ঠীতে ব্যস্ত ছিলেন। আর রীতা দাস বাইরে রয়েছেন। পেট্রল পাম্প নির্মাণ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। এখন আমি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে নেই। জবাব দেবেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তবে পেট্রল পাম্প নির্মাণ আর দলের বৈঠক একসঙ্গে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। দলের বৈঠকে ওনারা আসতে পারতেন।
রানু কুণ্ডু বলেন, পেট্রল পাম্প নির্মাণ কাজ বন্ধ না হওয়ায় বৈঠকে আমি যাইনি। আর এক কাউন্সিলার রীতাদেবীর ফোন নেটওয়ার্ক সীমার বাইরে ছিল।
এদিকে, কাউন্সিলাররা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে শহরে গুঞ্জন চলছে। যদিও প্রাক্তন কাউন্সিলার স্বপনবাবু বলেন, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি না আমরা। আমরা চাই পুরসভার জমিতে পেট্রল পাম্প নির্মাণ বন্ধ হোক। বিজেপির নদীয়া(উত্তর) জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, পুরসভার অনেক কাউন্সিলার আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। বেশ কয়েকজন যোগদান করবেন। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।