কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা-২ ব্লকের কানিবামনি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ট্রাক্টর চালক সুশীল সোরেন পাশের পিণ্ডিরা গ্রামে ঘর জামাই থাকে। সুশীল অন্য মহিলার সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ায় স্ত্রী চিন্তামণি সোরেনের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই অশান্তি চলত। অভিযোগ, রবিবার চারজন মহিলাকে নিয়ে বাড়ি আসে সুশীল। দুপুরে বাড়িতে ওই মহিলাদের নিয়ে মদের আসর বসায় সে। স্বামীর এমন আচরণ দেখে প্রতিবাদ করেন চিন্তামণিদেবী। ওই মহিলাদের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। ওই সময় দুই মহিলা চিন্তামণিকে জোর করে মদ্যপান করায়। তারপর সুশীল ও ওই মহিলারা মিলে তার উপর অত্যাচার শুরু করে। এরপরই ওই দুই মহিলার কথা মতো সুশীল লাঠি দিয়ে মারার পাশাপাশি ইঁট দিয়ে স্ত্রীর মাথা থেঁতলে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় নিস্তেজ হয়ে পড়েন চিন্তামণিদেবী। খবর পেয়ে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করলে রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই পুলিস সুশীলকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, প্রাথমিক জেরায় সুশীল খুনের কথা স্বীকার করেছে। সমস্ত ঘটনা যেহেতু তাদের মেয়ে মালা সোরেনের চোখের সামনে ঘটেছে, তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। মৃতার ভাই বিশ্বনাথ মাণ্ডি বলেন, আমরা চাই পুলিস দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক। পুলিসের এক অফিসার জানায়, এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।