কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম ডিভিশনের ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের এই রেসিডেন্সিয়াল হাতিগুলি প্রতি বছর গড় শালবনি এলাকায় এসে ঘাঁটি গাড়ে। গড় শালবনির পাশাপাশি গাডরো, কয়মা, ঘৃতখাম, বরিয়া, চিচুরগেড়িয়া, জিতুশোল, কামারবান্ধী ও শিরষির মতো গ্রামগুলিতে হামলা চালায়। গরমে আম, পেয়ারা ও লিচু বাগানে ফল খায়। ফল খাওয়া শেষ হয়ে গেলে গ্রামে ঢুকে পড়ে। গত কয়েক বছরে হাতিরা মিড-ডে মিলের চাল খাওয়ার জন্য একাধিক স্কুল ভেঙে দিয়েছে। ঝাড়গ্রাম ব্লকের গড় শালবনি, লোধাশুলি, আগুইবনি, পাটাশিমূল, মানিকপাড়া, দুধকুণ্ডি সহ বিভিন্ন গ্রামে রাতে হামলা চালায় হাতিগুলি। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম ও লোধাশুলি রেঞ্জে মোট আটটি রেসিডেন্সিয়াল হাতি রয়েছে। এর মধ্যে একটি হাতি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় একা একা রয়েছে। আর সাতটি হাতি ছোট দলে ভাগ হয়ে ক্ষয়ক্ষতি চালাচ্ছে। কখনও দু’টি ও কখনও তিনটি হাতি মিলে গ্রামগুলিতে হানা দিচ্ছে। এই দলে একটি বাচ্চা হাতি থাকায় দলটি এলাকা ছাড়াছে না। এই হাতিগুলি আবার মাঝে মধ্যেই পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়কে উঠে দাঁড়িয়ে থাকে। গত কয়েক দিন আগে গড়শালবনি এলাকায় একটি দোকান ভেঙে দিয়েছিল।
বন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, এখন জমিতে মাঠে-ঘাটে কোনও খাবার নেই। দিনে হাতিগুলি আম, লিচু খাচ্ছে। রাতে খাবারের সন্ধানে গ্রামে হানা দিচ্ছে। ঝাড়গ্রামের রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ সেনগুপ্ত বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এদিন ক্ষতিপূরণের ফর্ম নিয়ে গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। খাবারের জন্য হাতিগুলি এলাকা ছাড়ছে। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হাতিগুলিকে এলাকা থেকে সরানো মুশকিল হয়ে উঠছে।