কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, এদিনের বৈঠকে বিষ্ণুপুর লোকসভার অন্তর্গত জেলার ৬টি বিধানসভা এলাকার বুথ, অঞ্চল এবং ব্লক সভাপতিরা উপস্থিত থাকবেন। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সদস্য, পুরসভার কাউন্সিলার, বিধায়ক, দলের ব্লক কোর কমিটি ও জেলা কমিটির সদস্যরা যোগ দেবেন। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল, জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তীর মতো নেতারাও বৈঠকে অংশ নেবেন। শুভেন্দুবাবু বৈঠকে যেমন নির্দেশ দেবেন, সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করব।
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর আসনে তৃণমূল বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়। জেলার সবকটি বিধানসভা কেন্দ্রেই শাসক দল পিছিয়ে পড়ে। বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর এবং সোনামুখী পুরসভা এলাকায় শাসক দলের শোচনীয় হাল হয়। স্বাধীনতার পর থেকে রাজ্যের কোনও ক্ষমতাসীন দলের এজেলায় এইরকম ফলাফল হয়নি। ফলপ্রকাশের পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। বাঁকুড়াকে লোকসভাভিত্তিক ভাগ করে দু’টি পৃথক সাংগঠনিক জেলা করা হয়। বাঁকুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় শুভাশিস বটব্যালকে। বিষ্ণুপুরের দায়িত্ব পান শ্যামল সাঁতরা। এদিকে, ফল খারাপ হওয়ায় বাঁকুড়া জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় দলনেত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হাতে ব্যাটন তুলে দেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর বিষ্ণুপুর এবং বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে যথাক্রমে ৯ জুন এবং ১৫জুন বৈঠক করার কথা শুভেন্দুবাবু ঘোষণা করেন। ওই দুই বৈঠকে পরাজয়ের কারণ খুঁজে বের করার পাশাপাশি সংগঠনের হাল ফেরানোর লক্ষ্যে শুভেন্দুবাবু রণকৌশল ঠিক করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।