কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, সদর শহর সিউড়ির বেশ কিছু ওয়ার্ডে এখনও পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। আমরা ৩০টি টিউবয়েল শহরে বসাব। জল সমস্যা সমাধান করাই আমাদের উদ্দেশ্যে।
মোরব্বার শহর সিউড়ি এখন অনেক বেশি করে নাগরিক সমস্যার জন্য খবরের শিরোনামে আসে। সংকীর্ণ রাস্তা, ফুটপাত দখল, জঙ্গল সাফাইয়ের তৎপরতার অভাব, শহরের মধ্যে থাকা বাসস্ট্যান্ডের জন্য নিত্য যানজট সহ প্রতিনিয়ত একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হন শহরের মানুষ। যদিও এখানকার সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জলের। একবিংশ শতাব্দীতে যেখানে প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্যে থাকা দেশের প্রতিটি বাড়িতে পরিস্রুত নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, সেখানে বীরভূমের সদর শহর সিউড়িতে প্রতি ওয়ার্ডে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে পারেনি পুরসভা। পুলিস ও প্রশাসনের বিভিন্ন শীর্ষ কর্তারা এই শহরে বাস করলেও সমস্যার সমাধানে পুরকর্তারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষান্ত থাকেন বলে অভিযোগ। পুরসভার এই অবহেলা ও বেনিয়ম নিয়ে গতবারের সিউড়ির বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ সরব হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটেও বিজেপিকে লিড দিয়ে শাসকদলকে ‘সবক’ শিখিয়েছিল এই শহর। তাই ২০১৫ সালের পুরবোর্ড দখলের জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছিল তৃণমূল। যেখানে জেলার প্রচারে হেভিওয়েট অনুব্রত মণ্ডলই যথেষ্ট, সেখানে বেগতিক বুঝে পুরভোটের আগে প্রচারে এসেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও। শুধু বৈঠক বা প্রচার করা নয়, শহরবাসীর উদ্দেশে লিফলেট বিলি করে জল সমস্যার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন পুরমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনমাসের মধ্যে জল সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। শহরবাসী তৃণমূলকে পুরভোটে জেতালেও তারা কথা রাখেনি বলে অভিযোগ। এবার লোকসভা ভোটে গতবারের থেকেও শহরে বেশি ভোটের লিড পেয়েছে বিজেপি। শহরের ১৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিতে মোট ৫হাজার ৪২৯ভোটে তারা তৃণমূলের থেকে এগিয়ে রয়েছে। ২, ৩, ৪, ১৭, ১৮, ১৯ সহ জল সমস্যাজনিত ওয়ার্ডগুলিতে হেরেছে তৃণমূল। তাই সিউড়ি রবীন্দ্রসদনে জেলার বৈঠকে শহরবাসীর মন পেতে কোনও বিশেষ ঘোষণা করেন কিনা জেলার তৃণমূল পর্যবেক্ষক সেটাই এখন দেখার।
তবে, এবার জল সমস্যা কিছুটা লাঘব করতে এগিয়ে এসেছে জেলা পরিষদ। বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের জন্য বরাদ্দ হওয়া রিক বোর টিউবওয়েলগুলি থেকে কাটছাঁট করে সদর শহরের জন্য ৩০টি টিউবওয়েল বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জল সমস্যা থাকা ২, ৩, ৪, ১৭, ১৮, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডগুলিতে এই টিউবওয়েল দেওয়া হবে। জলস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরকে সেই নির্দেশই দিয়েছেন সভাধিপতি। ভোটে বিপর্যয়ের পরও হাল ছাড়তে নারাজ পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই সব সমস্যা মিটে যাবে। মানুষ পুরভোটে আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।