রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বীরভূমের দু’টি লোকসভা আসনে তৃণমূল জয়লাভ করলেও শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। শাসকদলের মার্জিন কমেছে। নানুর এলাকায় তৃণমূলের প্রভাব ফিরিয়ে আনতে গত সোমবার দলের মূল স্রোতে নিয়ে আসা হয় একদা বিক্ষুব্ধ প্রভাবশালী নেতা কাজল শেখকে। এদিকে, বুধবার দিল্লিতে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ও নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর। একদিকে নানুর এলাকায় লোকসভা ভোটে মাত্র ১৭হাজার ভোটের লিড ও প্রাক্তন বিধায়কের বিজেপিতে যোগদানের পরই এদিন দলীয় সংগঠন চাঙ্গা করতে মিছিল করা হয়। নানুরের তিনমাথা বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হয়ে ব্লক অফিস পর্যন্ত ঘুরে তৃণমূল কার্যালয়ে শেষ হয়। মিছিলে ছিলেন কাজল, সুব্রত ও কেরিম। মিছিল শেষে তৃণমূল কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হন জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ। সেখানে পাশাপাশি বসে থাকতে দেখা যায় কাজল ও অভিজিৎবাবুকে।
নানুর এলাকায় প্রভাবশালী কাজল শেখের সঙ্গে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধিতা শুরু হয় ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগদানকারী এই অভিজিৎ সিংহকে নিয়েই। কিন্তু এদিন তাঁদের পাশাপাশি বসে থাকা দেখে নিজেদের মনোমালিন্য দূর করার বার্তা পরিষ্কার হয়ে যায়। তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ এদিনের এই মিছিলকে তাঁদের বিজয় মিছিল বলেই অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক ও লাভপুরের বিধায়কের বিজেপিতে যোগদান তৃণমূলের কাছে গুরুত্বহীন।
অভিজিৎবাবু বলেন, বীরভূমের লোকসভার দু’টি কেন্দ্রেই তৃণমূল জয়লাভ করেছে। ঈদের পর থেকে প্রতিটি ব্লকেই বিজয় মিছিল করা হবে। নানুর অঞ্চলে এদিন কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অসিত মালকে নিয়ে নানুরের প্রতিটি এলাকায় বিজয় মিছিল করা হবে। দলবদল করে বিজেপিতে যাওয়া দুই বিধায়ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন লাভপুরের দু’বারের বিধায়ক ও পাথরচাপুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি, অন্যজন নানুর এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক, ২০১৬সালে তিনি পরাজিত হওয়ায় দল তাঁকে জেলার যুব সভাপতির পদ দিয়েছিল। তারপরও যদি কেউ ছেড়ে চলে যায় তাহলে তার বিচার মানুষ করবে। দু’জনের দলত্যাগে কোনও প্রভাব পড়বে না জেলায়।
বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, বিজেপি নিজের গতিতে চলছে। মানুষ স্বইচ্ছায় বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। কারোর যোগদান করায় খুব বেশি লাভ হবে না আবার কেউ ছেড়ে গেলেও কোনও অসুবিধাই হবে না। জেলার কার্যকর্তারা সাংগঠনিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে বিজেপির পথ আরও প্রশস্ত করবে।
সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা বলেন, নানুরের মানুষ শান্তি চায়। তৃণমূলের মস্তান বাহিনী দিয়ে নানুরকে অশান্ত করতে চাইলে বিজেপি তা বরদাস্ত করবে না। নানুরের মানুষকে কারও ভয়ের কাছে মাথা নোয়াতে হবে না। আমি মানুষের সঙ্গে সর্বদা থাকব। বিজেপির প্রভাব পড়বে কিনা তা লোকসভা ভোটে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। নানুরের বেশিরভাগ জায়গাতেই বিজেপি লিড পেয়েছে।