গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, নেত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই দায়িত্ব এখন পালন করতে হবে। প্রথমে জেলার চলতে থাকা গোষ্ঠী কোন্দল মেটানো মূল লক্ষ্য। তবে সবার আগে দলের কর্মীদের একসঙ্গে চলতে হবে। সোমবার গিয়ে বৈঠক করব। বৈঠক শেষে ব্লক ও পঞ্চায়েতেগুলিতে সংগঠনগুলি কী অবস্থা তা নিয়ে পর্যালোচনা করব। দল থেকে যারা দূরে রয়েছে তাদের ফের দলে ফিরিয়ে আনা হবে। না থাকা সংগঠনগুলি তৈরি করা হবে।
অর্পিতা ঘোষ হেরে গেলেও দলের নেত্রী তাঁকে জেলার সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে অর্পিতা ঘোষের চলতে থাকা গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই লোকসভার আসন তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে সেই খবর নেত্রীর কাছে পৌঁছতেই বিপ্লব মিত্রকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অর্পিতা ঘোষকে। অর্পিতা ঘোষ দায়িত্ব পেতেই বিপ্লব অনুগামীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। বিপ্লব অনুগামীরা অর্পিতা ঘোষকে জেলা সভাপতি হিসেবে মানতে চাইছে না। বহিরাগত বলে আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। অনেকে দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছে। এই সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে এই সময়ে জেলায় তৃণমূলের সংগঠন ধরে রাখা কার্যত অর্পিতা ঘোষের কাছে চালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে অর্পিতা ঘোষের দাবি, তিনি থেমে থাকার মানুষ নন। জেলাকে তিনি নিজের পরিবারের মতো ভালোবাসেন। এমপি থাকাকালীন কোটার ১০০ শতাংশ টাকা খরচ করেছেন। তবে জেলাবাসী তাঁকে ভোট দিয়ে না দিয়ে পরাজিত করায় অর্পিতা দেবী হতাশ হয়েছেন। এই অবস্থায় তিনি সব কিছু ভুলে এখন জেলায় নতুন করে সংগঠনকে সাজিয়ে তুলতে চাইছেন। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে, তৃণমূলের সমস্ত কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি করা হবে কি না। তবে এবিষয়ে এখনই মুখ খুলতে চাননি অর্পিতা। তিনি বলেন, যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে নিচুতলার কর্মীদের নির্দেশ দেব বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এতে মানুষের মধ্যে তৃণমূলের প্রতি যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা কিছুটা হলেও কমবে।