বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এব্যাপারে শম্পাদেবী বলেন, আমি সবসময় বিতর্কের কেন্দ্রে থাকি। দুর্দিনে তৃণমূল করলেও দল আমাকে প্রাপ্য মর্যাদা দেয়নি। তবে, এখনও আমি তৃণমূলেই রয়েছি। দলবদল করলে সকলকে জানিয়েই যাব। জেলা নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিধায়ক বলেন, একশ্রেণীর তৃণমূল নেতানেত্রী দলের সুসময়ে ‘ক্রিম’ খেয়েছেন। দুঃসময়ে তাঁরা পালানোর রাস্তা খুঁজছেন। আমি টাকা কামানোর জন্য রাজনীতি করিনি। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমে আমার নাম দেখানো হয়েছে। হঠাৎ করে বাঁকুড়া লোকসভা আসনের জন্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোষিত হয়। বাঁকুড়ার মানুষ এই অপমান মেনে নেয়নি। তাই তারা তৃণমূলকে ভোট দেয়নি।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের টিকিটে শম্পাদেবী বাঁকুড়া পুরসভার কাউন্সিলার হন। ২০১০ সালে তিনি বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পান। সেবার বাম বোর্ডকে সরিয়ে তৃণমূল বাঁকুড়ার ক্ষমতা দখল করে। শম্পাদেবীর আমলে বাঁকুড়া শহরে বহু উন্নয়নমূলক কাজ হয়। ২০১৫ সালে পুর নির্বাচনে জয়লাভের পরেও দল তাঁকে চেয়ারপার্সন করেনি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল টিকিট দেবে বলে শম্পাদেবী আশা করেছিলেন। কিন্তু, সেবারও ঘাসফুল শিবির তাঁকে নিরাশ করে। ফলে তৃণমূলের উপর তাঁর গোঁসা হয়। সেবার বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হয়ে শম্পাদেবী বাঁকুড়া আসনে জয়লাভ করেন। যদিও পরে পুরসভার একাধিক কাউন্সিলারকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় শম্পাদেবী তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ফের তিনি অন্য দলের দিকে ঝুঁকবেন কি না তা নিয়ে এদিন জেলায় জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।