পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রামপুরহাটের দখলবাটি অঞ্চলের বাধা গ্রামে শুক্রবার রাতের অন্ধকারে প্রায় পাঁচটি টিউবওয়েল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের ৭৮ নম্বর বুথ থেকে ২৪৪ ভোটে লিড পেয়েছে বিজেপি। তাতেই পানীয় জল থেকে বঞ্চিত করতে ওই বুথ এলাকার পাঁচটি টিউবওয়েল ভেঙে দিয়েছে শাসকদলের লোকজন। কোথাও আবার নলকুপে কাঠের টুকরো ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ করায় গ্রামের এক বিজেপি কর্মী নবীন মণ্ডলকে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি তাঁর বাড়িতে আক্রমণ চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা ভালোভাবে নেয়নি গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে একইভাবে রামপুরহাট শহর লাগোয়া ছেতুনি মাঠপাড়া এলাকাতেও কল ভেঙে দেওয়া হয়। ফলে তীব্র গরমে পানীয় জলের হাহাকার দেখা দেয় গ্রামগুলিতে। কেউ পুকুরের জল, কাউকে আবার দূরবর্তী স্থান থেকে জল সংগ্রহ করে আনতে হয়।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে রামপুরহাট বিধানসভা থেকে ১৩ হাজারেরও বেশি ভোটে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। যা চিন্তা বাড়িয়েছে শাসকদলের। চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই ক্ষত মেরামতি করাই এখন লক্ষ্য সবুজ শিবিরের। এরই মধ্যে ফলাফলের নিরিখে পিছিয়ে পড়া গ্রামে টিউবওয়েল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করায় ক্ষুব্ধ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই মতো এদিন জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বাধা ও ছেতুনি মাঠপাড়ায় আসেন বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারাই করেছে, ভুল করেছে। অত্যন্ত অন্যায় কাজ। এরপর কোনও কল ভাঙা হলে বা কোনও সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা হলে আমাকে জানান। আমি ব্যবস্থা নেব। আপনাদের পাশে রয়েছি। গ্রামবাসীদের সামনেই তিনি জনপ্রতিনিধিদের বকাবকি করার পাশাপাশি ক্ষমা চাইতে বাধ্য করান। এবং এই ধরণের ঘটনা তিনি যে বরদাস্ত করবেন না সেটাও জনপ্রতিনিধিদের পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রীর কাছ থেকে এমন আশ্বাস পেয়ে খুশি গ্রামবাসীরাও।
মন্ত্রী বলেন, ওই গ্রামগুলিতে আমরা ভোট কম পেয়েছি। স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে ছিল। তিনি বলেন, অনেক সময় অন্য দল এই ধরণের কাজ করে শাসকদলের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেন। তবে যারাই করেছে ভুল করেছে। এই ধরণের ঘটনা ঘটলে সরাসরি আমাকে জানানোর জন্য গ্রামবাসীদের বলে এসেছি। শনিবারই সমস্ত টিউবওয়েল মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ জল পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, মানুষের রায় মাথা পেতে নিতে হবে। কোথাও যেন মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করা হয় সেব্যাপারে জনপ্রতিনিধি থেকে কর্মীদের সর্তক করা হয়েছে।