কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে, গত নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী তাপস সিনহা ৪ লক্ষ ২৬ হাজার ভোট পেলেও এবার কাঁথিতে সিপিএমের ভোট তলানিতে এসে ঠেকেছে। আর কংগ্রেসের হাল শোচনীয় হয়েছে। এবার শিশিরবাবু পেয়েছেন ৭ লক্ষ ১১ হাজার ৮৭২টি ভোট। বিজেপির প্রার্থী দেবাশিস সামন্ত পেয়েছেন ৬ লক্ষ ২০৪টি ভোট। সিপিএম প্রার্থী পরিতোষ পট্টনায়ক পেয়েছেন ৭৬ হাজার ১৮৫টি ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী দীপক দাস পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৫১টি ভোট। এসইউসি প্রার্থী মানস প্রধান পেয়েছেন ৩২৯৭টি ভোট। শিবসেনার প্রার্থী কেনারাম মিশ্র পেয়েছেন ৪১৪৭টি ভোট। বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী খোকন বর্মন পেয়েছেন ৩০০৪টি ভোট। নোটার দখলেই এসেছে ৮৬৮৭টি ভোট। বৃহস্পতিবার গণনাকেন্দ্র কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে রাত পর্যন্ত ভোট গণনা চলে।
গত লোকসভা নির্বাচনে ভগবানপুর বিধানসভায় ৩৬ হাজার ৪২৬টি ভোটের লিড দিয়েছিল তৃণমূল। এবার ভগবানপুরে লিড আরও বেড়েছে। এবার ৩৭ হাজার ৮০৬ ভোটের লিড দিয়েছে তৃণমূল। দক্ষিণ কাঁথিতে ১৯ হাজার ১৫টি ভোটের লিড দিয়েছে তৃণমূল। অথচ গত নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ১৬৯টি ভোটের লিড দিয়েছিল তারা। উত্তর কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্র এবার ১২ হাজার ৮৭১ ভোটের লিড দিয়েছে তৃণমূল। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তর কাঁথিতে ৩০ হাজার ৬৭৩ ভোটের লিড দিয়েছিল তৃণমূল। খেজুরি বিধানসভায় এবার তৃণমূল মাত্র ৫৫৫৩টি ভোটের লিড দিয়েছে। অথচ খেজুরিতে গত নির্বাচনে ৩৮ হাজার ২৬৩টি ভোটের লিড দিয়েছিল তৃণমূল। শাসক দলের ‘ঘাঁটি’ বলে পরিচিত রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের লিড উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। এবার রামনগর বিধানসভায় মাত্র ৭৯৩৮ ভোটের লিড দিয়েছে তৃণমূল। অথচ গত নির্বাচনে ৩৪ হাজার ২৫৬ ভোটের লিড দিয়েছিল রামনগর। চণ্ডীপুর বিধানসভায় গতবার ২০ হাজার ১১৯টি ভোটের লিড দিয়েছিল তৃণমূল। এবার সেই লিড কমে হয়েছে ১৫হাজার ৪৬৩টি। পটাশপুর বিধানসভা এলাকায় সেবার তৃণমূল ৩৩ হাজার ৬২৫ ভোটের লিড দিয়েছিল। এবার ১৪ হাজার ৪০২টি ভোটের লিড দিয়েছে পটাশপুর।
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন মাইতি বলেন, আমরা কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে হারলেও আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে। ধর্মযুদ্ধে আমরাই জয়লাভ করেছি। ভগবানপুর, পটাশপুর, খেজুরি, চণ্ডীপুরে ব্যাপক সন্ত্রাস করে জিতেছে তৃণমূল। তবে এই ফলাফলে আমরা খুশি। আগামী দিনে কাঁথি তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পদ্ম ফুটবেই।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, বামেদের ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছে। কিন্তু সেই ভোট যাওয়ার জন্য দায়ী তৃণমূলই। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই জেলায় বামেদের উপর চরম অত্যাচার করেছে। তাই বামেদের বড় অংশের ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছে। এসব কারণে তৃণমূলও তার নিজের ভোট ধরে রাখতে পারেনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের ভোটে নামতে না দেওয়া, ছাপ্পা দিয়ে ভোটে তৃণমূলের জেতাও একটি বড় কারণ।
জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি বলেন, কিছু বিধানসভা কেন্দ্রে আমাদের ফলাফল মোটেই আশানুরূপ হয়নি। সিপিএমের ভোট বিজেপির দিকে আসায় বিজেপির ভোটের হার বেড়েছে। কেন এই ফলাফল হল, তা পরবর্তী সময়ে বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।