বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নিউ ব্যারাকপুর থেকে ১৪-১৫ জনের একটি দল দীঘায় বেড়াতে আসে। সকলেই পরিবারের লোকজন নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন। তাঁরা উঠেছিলেন দীঘার একটি হোটেলে। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে আসেন শঙ্করবাবু। এদিন বেলা সওয়া ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। দুপুরের দিকে পর্যটক দলের কয়েকজন সদস্য ওল্ড দীঘার সমুদ্রের দিকে যান। বাকি সকলে তখন গার্ডওয়ালের উপর বসেছিলেন। সেই সময় অতি উৎসাহী হয়ে শঙ্করবাবু মেয়ে অত্ত্বিকাকে নিয়ে বোল্ডারের উপর দিয়ে হেঁটে জলে পা ভেজানোর জন্য এগিয়ে যান। তা দেখেই কর্তব্যরত নুলিয়া এবং সিভিক ভলান্টিয়ারারা তাদের বারণ করেন এবং ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু ফের শঙ্করবাবু মেয়েকে নিয়ে সমুদ্রে নেমে যান। ফের কর্তব্যরত নুলিয়ারা ও সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁকে বাধা দেন। কিন্তু দ্বিতীয়বার তিনি কোনও বারণই শোনেননি। বরং নুলিয়া ও সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। শেষ পর্যন্ত মেয়েকে নিয়ে জোর করেই জলে নামেন তিনি। অভিযোগ, ওই পর্যটক অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন। মেয়েকে নিয়ে জলে নেমে পা ভেজানোর সময় একটি বড় ঢেউ এসে শঙ্করবাবু এবং তাঁর মেয়ে অত্ত্বিকাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনাটি দেখে কর্তব্যরত নুলিয়ারা তৎপরতার সঙ্গে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। কিন্তু শঙ্করবাবুকে তখন খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি তলিয়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ পরে নুলিয়ারা শঙ্করবাবুকে ঘাটের কাছ থেকে উদ্ধার করেন। তাঁকে তড়িঘড়ি দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক সেখানে শঙ্করবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে অত্ত্বিকা এখনও দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার পর শঙ্করবাবুর স্ত্রী সান্ত্বনাদেবী কান্নায় ভেঙে পড়েন। পর্যটক দলের অন্যান্য সদস্যরাও শোকস্তব্ধ। সান্ত্বনাদেবী বলেন, দীঘায় বেড়াতে এসে এভাবে স্বামীকে হারাতে হবে, তা কোনওদিন ভাবিনি। এখন আমি কোথায় যাব, কী করব, কিছুই ভেবে উঠতে পারছি না।
দীঘা কোস্টাল থানার ওসি গোপাল পাঠক বলেন, দীঘায় যে অংশে সমুদ্রে নামলে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। আমরা সেখানে পর্যটকদের সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে বাধা দিই। সবসময় নজরদারিও চলে। কিন্তু কিছু পর্যটক আছেন, যাঁরা পুলিস¬-প্রশাসনের কোনও বাধা বা নিষেধাজ্ঞা মানেন না। বাধা না মানার জন্যই এই বিপত্তি হল।