কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়া বর্ধমান পুরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডে ১১২৩, ৩নম্বর ওয়ার্ডে ৬২০, ৬নম্বর ওয়ার্ডে ১৩৯৮, ৭নম্বর ওয়ার্ডে ১০১৬, ৮নম্বর ওয়ার্ডে ৫৩৫, ৯নম্বর ওয়ার্ডে ১৮২, ১০নম্বর ওয়ার্ডে ৪১৭, ১১নম্বর ওয়ার্ডে ১৭৭৮, ১২নম্বর ওয়ার্ডে ১৭৮৮, ১৩নম্বর ওয়ার্ডে ২১৫২, ১৫নম্বর ওয়ার্ডে ৪৩, ১৭নম্বর ওয়ার্ডে ৭১৮, ২০নম্বর ওয়ার্ডে ১৪০, ২১নম্বর ওয়ার্ডে ৫৩৪, ২২নম্বর ওয়ার্ডে ১২০৩, ২৫নম্বর ওয়ার্ডে ৩৯৯, ২৮নম্বর ওয়ার্ডে ৪৩১, ৩০নম্বর ওয়ার্ডে ৫২৪, ৩২নম্বর ওয়ার্ডে ৩৪, ৩৪নম্বর ওয়ার্ডে ৪০৯ এবং ৩৫নম্বর ওয়ার্ডে ৩২৩ভোটের লিড নিয়েছেন। অর্থাৎ একসঙ্গে বর্ধমান পুরসভার ২১টি ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস পিছিয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ২নম্বর ওয়ার্ডে ৮৬৮, ৪নম্বর ওয়ার্ডে ১৪২৮, ৫নম্বর ওয়ার্ডে ১৪৮৭, ১৪নম্বর ওয়ার্ডে ৫০, ১৬নম্বর ওয়ার্ডে ৩৪৮, ১৮নম্বর ওয়ার্ডে ১১০৪, ১৯নম্বর ওয়ার্ডে ২৭৪৬, ২৩নম্বর ওয়ার্ডে ২২৫৮, ২৪নম্বর ওয়ার্ডে ২২৫৮, ২৬নম্বর ওয়ার্ডে ১৮৬৭, ২৭নম্বর ওয়ার্ডে ৪৩০, ২৯নম্বর ওয়ার্ডে ৩৫৪, ৩১নম্বর ওয়ার্ডে ৭১৭, ৩৩নম্বর ওয়ার্ডে ১২৮৯ ভোটের লিড পেয়েছে। ৩৫টি ওয়ার্ড মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র ১৩৩৮ভোটের লিড পেয়েছে। কিন্তু, ৩৫টির মধ্যে ২১টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছে জোড়াফুল শিবির।
বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতা ৮৫হাজার ৩০১ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি-র এসএস আলুওয়ালিয়া পেয়েছেন ৮৩হাজার ৯৬৩ভোট। সিপিএমের আভাস রায়চৌধুরী পেয়েছেন ১৮হাজার ৭৯০ভোট। বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বরূপ দত্তের ৩০নম্বর ওয়ার্ড সহ অনেক তাবড় নেতার নিজস্ব ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছে শাসক দল।
ভোটের প্রচারপর্বে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি তৈরি করেছিল। বিধায়কদের কমিটির কনভেনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যদিও বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার ক্ষেত্রে বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে প্রাক্তন এমসিআইসি খোকন দাসকে কনভেনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এনিয়ে পার্টির ভিতরে চাপানউতোর চলছিল। ভোটের আগে ও পরে বর্ধমান শহরে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে। ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সরাসরি প্রভাব পড়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
বর্ধমান শহর থেকে ৪০হাজার ভোটের লিড দেওয়ার জন্য টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায় বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা থেকে মোটেও আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। শহরের একচেটিয়া ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছে শাসক দল। মাত্র ২৪৩৯ভোটের ব্যবধানে বিজেপি-র এসএস আলুওয়ালিয়া ওই আসনে শেষ হাসি হাসলেন। বর্ধমান উত্তর কেন্দ্র থেকে ২৮হাজার ৪৫ভোটের লিড এলেও পুরসভা এলাকা থেকে মোটেও ভালো ফল হয়নি। এদিকে ভোট গণনার রাতে রথতলা ও কাঞ্চননগর এলাকায় ব্যাপক গোলমাল বাধে। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বর্ধমান থানা ঘেরাও করে বিজেপি।