বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়া পেয়েছেন ৫লক্ষ ৯৬হাজার ৩৪৫ভোট। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতা পেয়েছেন ৫লক্ষ ৯৩হাজার ৬১১ভোট। সিপিএম প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরী পেয়েছেন ১লক্ষ ৬০হাজার ৭৩৮ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ মুখোপাধ্যায় পেয়েছেন ৩৮হাজার ৪০২ভোট। বহুজন সমাজ পার্টির রামকৃষ্ণ মালিক পেয়েছেন ১৩হাজার ৭২৩ভোট। এসইউসি-র সুচেতা কুণ্ডু পেয়েছেন ৬৫২৮ভোট। নোটার ঘরে গিয়েছে ১৮হাজার ৪৭০ভোট।
ইউআইটিতে গণনা কেন্দ্রের বাইরে এদিন বিজেপি-র বাইক মিছিল লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এনিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি কর্মীরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাম্প অফিসের পাশ দিয়ে বাইক মিছিল করছিলেন। সেই সময় মিছিলের শেষভাবে আক্রমণ চালানো হয়। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। বাইক ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিস লাঠিচার্জ করে। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে সিপিএমের ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ বিজেপি-র দিকে চলে গিয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেও অন্তর্ঘাত এই পরাজয়ের নেপথ্যে কাজ করেছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। ২০১৪সালে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তৃণমূল কংগ্রেস ৫লক্ষ ৫৪হাজার ৫২১ভোট পেয়েছিল। শতাংশের নিরিখে ৪১.৬৫। সিপিএম পেয়েছিল ৪লক্ষ ৪৭হাজার ১৯০ভোট। শতাংশের নিরিখে ৩৩.৫৯শতাংশ। অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছিল ২লক্ষ ৩৭হাজার ২০৫ভোট। শতাংশের নিরিখে ১৭.৮১। এবার সিপিএম সাংগঠনিকভাবে দক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নেতা আভাস রায়চৌধুরীকে ওই আসনে প্রার্থী করেছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন আভাসবাবু অনেক জায়গায় লড়াইয়ে থাকবেন। কিন্তু, ১০রাউন্ড পর্যন্ত দেখা যায়, আভাসবাবুর ভোট এক লক্ষের মধ্যে আটকে। শেষের দিকে সিপিএমের ভোটব্যাঙ্ক কিছুটা বাড়ে। তাতেই দেখা যায়, লড়াইয়ে ফিরে আসেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতা। একটা সময় দেখা যায়, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ১২৯ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে। আচমকা বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়া সটান গণনা কেন্দ্রে ঢুকে পড়েন। একেবারে টান টান উত্তেজনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায়, বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছাপিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটকে। আগেভাগে হল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন মমতাজ সঙ্ঘমিতা। রাত পর্যন্ত শুকনো মুখে ক্যাম্প অফিসে বসে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা।