পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বোলপুর বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তা কবিগুরুর শিক্ষাক্ষেত্র বোলপুরের জন্যই হোক কিংবা রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হওয়ার জন্যই হোক। অনুব্রতর নিজের বাড়ি বোলপুরে তিনি কত বেশি ভোটে জয় এনে দিতে পারেন তা যেমন তৃণমূলের কাছে দেখার বিষয় ছিল, তেমনই তাঁর গড়ে ভাঙন ধরাতে প্রচারে এসেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ভোটের ফল গণনা হতেই দেখা গেল, জেলার বাইরের তিন বিধানসভা আসন কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম এবং জেলার বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূল ভালো ভোট পেলেও সেই প্রভাব দেখা যায়নি লাভপুর নানুর ও ময়ূরেশ্বরে। প্রথম চারটি রাউন্ডে নানুরে বিজেপি ভোট পেয়েছিল ৫৭৯৫, ৬৫৮৮, ৪৯৭১, ৪৬৪৩টি। সেখানে তৃণমূল পায় ৪২১৫, ৪৩৮০, ৪৬৫৩, ৪৩৬৫টি। একইভাবে লাভপুরে প্রথম চারটি রাউন্ডে বিজেপি পায় ৫৪১৪, ৫১৫৮, ৫৬৪৬, ৬৬৫০টি ভোট। অন্যদিকে তৃণমূল পায় ৫৭০৪, ৬৫২২, ৫৪৭৮, ৩৯৬৯। বাকি রাউন্ডগুলিতেও এভাবেই টানাপোড়েন চলতে থাকে। একইভাবে ময়ূরেশ্বরেও সেই টানাপোড়েন চলে। যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে তৃণমূল। কারণ নানুরে ২০১৬ সালে বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতা কাজল শেখের ‘বেইমানি’তে জয়ী হয়েছিল সিপিএম। কিন্তু এবার কী এমন হল যার জন্য অস্তিত্ব না থাকা বিজেপি এভাবে ভোট পেল! তবে ভোটের দিন সকালে নানুরের বন্দরে তৃণমূলকে যেভাবে রুখেছিল বিজেপি, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। যার প্রতিফলন ভোটবাক্সেও ঘটল বলেই অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। লাভপুরে এবার বিধায়ক মণিরুল ইসলামকে বাদ দিয়েই ভোট যুদ্ধে নামে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতাদের অত্যাচার করারও অভিযোগ ওঠে। বিজেপি অভিযোগ তোলে এখানকার মানুষকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলের পক্ষে রেখেছে শাসক দলের নেতারা। ইভিএমের ফল বেরোতেই কিছুক্ষেত্রে তার সত্যতা পাওয়া গেল।