পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রথম থেকেই বিজেপি শিবিরে নেতা ও কর্মীদের উপস্থিতি তৃণমূলের চেয়ে অনেক কম ছিল। তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক দীনেন রায়, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি, জেলা পরিষদের দুই কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, শৈবাল গিরি, খড়্গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারকে প্রথম থেকেই কর্মীদের সঙ্গে শিবিরে দেখা যায়। পাশেই দলের অফিসে শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে, কাউন্সিলার দেবাশিস চৌধুরী সহ কর্মীদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। এক সময় মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রও আসেন। অন্যদিকে বিধায়ক তথা দলের প্রার্থী দিলীপ ঘোষের বাংলোয় বসে সবকিছু সামলাতে দেখা যায় বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাসকে। সেখান থেকেই কর্মীদের দুপুরের খাবারের জন্য প্যাকেটে করে ফ্রায়েড রাইস ও চিলি চিকেন দেওয়া হয়। তৃণমূল অবশ্য বসে খাবার ব্যবস্থা করেছিল। সেখানে ছিল ভাত, ডাল, তরকারি ও চাটনি। দলের প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার ব্যবধান ক্রমশ বাড়তে থাকায় অনেক কর্মী খেতে যাননি। বেলা শেষে অনেক খাবারই বেঁচে যায়।
সকাল থেকে বিজেপি প্রার্থী প্রতি রাউন্ডেই এগিয়ে যেতে থাকেন। তৃণমূল শিবিরে অবশ্য এনিয়ে কোনও চিন্তা ছিল না। নেতাদের আশা ছিল কয়েক রাউন্ড শেষে থমকে যেতে হবে বিজেপি প্রার্থীকে। দলের প্রার্থীকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না। তবুও কর্মীদের একটা হতাশা তখন থেকেই গ্রাস করেছিল। বিজেপি শিবিরে অবশ্য তখন কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এরপরই শুরু হয় ওঠা-নামার পালা। এক সময় বিজেপি এগয় তো একসময় তৃণমূল। এক সময় দেখা যায় মানসবাবু ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূল শিবিরে তখন কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। তখন আবার বিজেপি শিবিরে হতাশার ছবি ফুটে ওঠে। যদিও জেলা সভাপতি বলেন, তৃণমূলকে এখানেই থামতে হবে। এবার আমাদের এগনোর পালা। কর্মীদের হতাশা তখনই কেটে যাবে। তৃণমূল শিবিরের উচ্ছ্বাসটা যে এত তাড়াতাড়ি কেটে যাবে, তা অবশ্য নেতারা ভাবতেই পারেননি।
সেই যে বিজেপি প্রার্থী এগতে শুরু করলেন, আর পিছনে তাকতে হয়নি। যত সময় গিয়েছে, লাফাতে লাফাতে বেড়েছে বিজেপি প্রার্থীর ব্যবধান। তাদের শিবিরে তখন কর্মীদের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। উড়ছে পদ্মফুলের পতাকা আর গেড়ুয়া আবির। আর তৃণমূল শিবিরে পাতলা হতে শুরু করে কর্মীদের ভিড়। এক সময় পরাজয়ের দায় নেতাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে কর্মীদের একটা অংশ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। নেতাদের তা নীরবে মেনে নিতে হয়।