কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন তেহট্টের বেশিরভাগ তৃণমূল, বিজেপির কর্মী সমর্থকরা কৃষ্ণনগরে গণনা কেন্দ্রে চলে যায়। ফলে এলাকায় হাতে গোনা যে কজন কর্মী সমর্থক ছিল তারা সেভাবে রাস্তায় বের হয়নি। তবে বিকাল থেকে এলাকায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা মহুয়া মৈত্রের এগিয়ে থাকার খবর শুনে উচ্ছ্বাস করতে শুরু করেন। তাঁরা বাজি ফাটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে থাকেন।
কৃষ্ণনগরে গণনা কেন্দ্রের বাইরে সকাল থেকেই উৎসাহের সাথে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম কর্মী সমর্থকরা ভিড় করেছিলেন নিজেদের টেন্টে। পোস্টাল ব্যালটে বিজেপি এগিয়ে থাকার খবরে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা আনন্দে উল্লাস শুরু করে দেন। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা সকাল থেকেই ঝিমিয়ে ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ইভিএম গণনা শুরু হতে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র এগিয়ে যেতেই তাঁদের মধ্যে উৎসাহ শুরু হয়। মহুয়া মৈত্রের এগিয়ে যাওয়ার খবর বাইরে আসতেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড় বেড়ে যায় গণনা কেন্দ্রের বাইরে। তবে তারমধ্যে অনেক আক্ষেপ করতে শোনা যায় বিজেপির বাংলায় এত আসনে এগিয়ে থাকা নিয়ে। যত বেলা বেড়েছে মহুয়া মৈত্রের এগিয়ে থাকার খবরে তত ভিড় বেড়েছে তৃণমূলের টেন্টে। অন্যদিকে খালি হতে শুরু করেছে বিজেপির টেন্ট। বিজেপির কর্মীরা খুব আশা করেছিলেন এবার কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তাঁদের প্রার্থী কল্যাণ চৌবে অনেক বড় ব্যবধানে জিতবেন। কিন্তু পোস্টাল ব্যালট ছাড়া কোনও রাউন্ডে তিনি এগিয়ে যেতে পারেননি। তবে তাঁদের আশা শেষ পর্যন্ত কল্যাণ চৌবে এই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হবেন। অন্যদিকে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তাঁদের প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও সারা রাজ্যে তাঁদের আসন কমে যাওয়ায় খুব হতাশা প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, বিজেপির এই আসন বৃদ্ধির পিছনে সিপিএমের ভোট সব বিজেপিতে যাওয়ার সাথে সাথে আমাদের দলের নিচুস্তরের নেতারা দায়ী। তাঁরা এমনভাবে চলাফেরা করতে শুরু করেছিল, যে মানুষকে মানুষ বলে মনে করত না। তৃণমূলের আশা ছিল জেলার দুটো আসন ও কৃষ্ণগঞ্জ উপ নির্বাচনে জিতবে। কিন্তু কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র ছাড়া বাকি দু জায়গায় হেরে যাওয়ায় সেইভাবে আনন্দ করতে পারছে না তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।