পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ পুরুলিয়া পলিটেকনিক কলেজে ভোট গণনা শুরু হয়। প্রথম রাউন্ডের ফলাফল জানতে বেশ কিছুটা সময় গেলেও প্রথম রাউন্ড থেকেই বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময়বাবু ক্রমশ তাঁর লিড বাড়াতে থাকেন। প্রথম রাউন্ডের শেষে প্রায় তিনহাজার ভোটে এগিয়ে থাকার পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি বিজেপি প্রার্থীকে। দুপুর ১২টায় প্রথম চাররাউন্ড গণনার পর থেকেই বিজেপি প্রার্থীর জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লকের ভোটব্যাঙ্কে ব্যাপক ধস সবাইকে অবাক করে দেয়। দুপুর গড়াতেই আবির খেলার সঙ্গে ডিজে বাজনার তালে চলে কর্মীদের নাচ।
এদিনের ব্যাপক সাফল্যের পর বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় মাহাত বলেন, পুরুলিয়ার সাধারণ মানুষ আসলে তৃণমূলের লাঠি হাতে উন্নয়নবাহিনীর দাঁড়িয়ে থাকা এবং বিজেপি কর্মীদের একের পর এক হত্যা মেনে নেননি। তৃণমূল দলটা আগামীদিনে শুধু পুরুলিয়া জেলা নয়, গোটা বাংলাতেই ইতিহাস হয়ে যাবে। ওরা ২০২১সাল পর্যন্ত এরাজ্যে সরকার চালাতে পারবে না।
এবিষয়ে তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত বলেন, নির্বাচনে বিজেপিকে জেতানোর জন্য কংগ্রেস ও বামেরা বিজেপির সঙ্গে গটআপ করেছিল। বিজেপি হিন্দুত্বের জিগির তুলে জয়ী হয়েছে। আমাদের কাছে এই পরাজয় এবং ব্যবধান সত্যিই অপ্রত্যাশিত। তবে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কের কিছু ক্ষতি হয়নি।
জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক সুধন্য মাহাত বলেন, এবারের ভোট ধর্মীয় মেরুকরণের ভিত্তিতেই ভোট হয়েছে।
মৃগাঙ্কবাবু বলেন, মানুষের রায়কে আমরা সম্মান জানাচ্ছি। দলের নেতা কর্মীরা প্রচুর পরিশ্রম করলেও ধর্মীয় উন্মাদনার কাছে আমরা হেরে গিয়েছি। এটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে রায় নয়। পরে ভোট নিয়ে পর্যালোচনা করব।