গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলপাড়ের ৭৭ নম্বর বুথে ভোট পড়েছে ৯৪.০৫ শতাংশ। ১১৯ নম্বর বুথে ভোট পড়েছে ৯৩.৯ শতাংশ। এখানকার আরও বেশ কিছু বুথে একইরকম ভোট পড়েছে। এছাড়া বার্নপুরের রহমতনগরের ১২০ নম্বর বুথে ৮৮.৪৯ শতাংশ, ১২১ নম্বর বুথে ৯১.০৪, ১২২ নম্বর বুথে ৯৩.৩৪ শতাংশ, ১২৩ নম্বর বুথে ৯০.৯৯ শতাংশ, ১২৪ নম্বর বুথে ৮৩.০৪ শতাংশ এবং ১২৫ নম্বর বুথে ৮৮.৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই ওয়ার্ডগুলি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের দখলে রয়েছে। অতীতেও দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত ভোট পড়লে তা তৃণমূলের দিকেই গিয়েছে। ওই এলাকাগুলিতে বিরোধী দলগুলির তেমন সংগঠন নেই। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় বিজেপিও এই ওয়ার্ডগুলিতে মাথা তুলতে পারেনি। বামেরা একসময় তাদের সংগঠন ধরে রাখতে পারলেও এখন তাদের অবস্থা করুণ। সেভাবে তারা ওই বুথগুলিতে প্রচার করতে পারেনি। ভোটের প্রচারে সিপিএম বা বিজেপিকে কয়েক কদম দূরে সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল শিবির। এমনটাই মত স্থানীয়দের। সেকারণে রেলপাড় এবং রহমতনগরের মতো শহরে আরও বেশ কিছু ওয়ার্ডে তৃণমূলের দিকেই পাল্লা ভারী বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
প্রসঙ্গত, রেলপাড় আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ছে। রহমতনগর আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। বিধানসভা নির্বাচনেও এই দুই এলাকা থেকে রাজ্যের শাসক দল লিড পেয়েছিল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, আসানসোল শহরে এবারের নির্বাচনে বিজেপি হিন্দুত্বের তাস খেলে বাজিমাতের কৌশল নিয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছু এলাকায় তাদের এই তাস ব্যুমেরাং হয়ে গিয়েছে। যদিও সব জায়গায় তারা ব্যর্থ হয়েছে, এমনটাও নয়। কিছু কিছু জায়গায় তারা বাড়তি সুবিধা পেয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই মনে করছেন, আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে লিড হবে কি না তা অনেকটাই নির্ভর করছে আসানসোলের রেলপাড়ের উপর। এখানকার চার-পাঁচটা ওয়ার্ড কতটা এগিয়ে দেবে তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের ভবিষ্যৎও রহমতনগর, ধরমপুরের মতো ওয়ার্ডগুলি ঠিক করে দেবে। বিধানসভা নির্বাচনে বার্নপুর শহর থেকে শাসক দল ভালো ফল না করলেও ওই দুই এলাকা তৃণমূলকে সাফল্যের মুখ দেখিয়েছিল। সেকারণে লোকসভা নির্বাচন ঘিরে শাসক দলের নেতাদের মধ্যে বাড়তি আশা রয়েছে। রেলপাড়ও দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক শিবিরকে এগিয়ে রেখেছিল।
পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন দাসু বলেন, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে আমরা জিতবই। সব বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই লিড পাব। মানুষ আমাদের ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছে। অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, আমরা গতবারের থেকে অনেক বেশি ভোটে জিতব। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে সব এলাকার লোকজন আমাদের ভোট দিয়েছে। তবে এলাকার অনেকেই বলছেন, রহমতনগর, রেলপাড় বা ধরমপুরের মতো কাঁটাই বিজেপির চিন্তা বাড়িয়েছে।