পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, একসময় জঙ্গলমহলের অন্যতম জেলা বাঁকুড়া সিপিএম তথা বামেদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। যে কোনও নির্বাচনের ফল প্রকাশের অনেক আগে থেকেই লাল আবিরের চাহিদা বৃদ্ধি পেত। ফলে ব্যবসায়ীরাও আগাম বস্তা বস্তা লাল আবির দোকানে মজুত করতেন। গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনেও সবুজ আবিরের পাশাপাশি লাল আবিরের ভালো চাহিদা ছিল। কিন্তু, এবার লালমাটির জেলায় পরিস্থিতি পুরো পাল্টে গিয়েছে। বাঁকুড়া শহরের রাসতলা এলাকায় পরপর বেশ কয়েকটি আবিরের দোকান রয়েছে। সেখানে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বাজার মন্দা থাকায় লাল আবিরের আমদানি কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। আবির বিক্রেতা রাজু কুণ্ডু বলেন, এবার গেরুয়া এবং সবুজ আবির ৩ কুইন্টাল করে কিনেছি। লাল আবিরের চাহিদা নেই। ফলে তা ১ কুইন্টালেরও কম আমদানি করেছি। তা বিক্রি হবে বলে মনে হচ্ছে না। লাল আবির বিক্রির জন্য হরিনাম সংকীর্তনের ধুলটের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
পাইকারি আবির বিক্রেতা শ্যামসুন্দর দাস বলেন, আমার দোকানে ১৪-৭০ টাকা কেজি দরে আবির বিক্রি হয়। এবার আমি ১০ কেজি ওজনের ১০০ বস্তা সবুজ আবির এবং ৬০ বস্তা গেরুয়া আবির মজুত করেছি। সেই জায়গায় মাত্র ১০ বস্তা লাল আবির কিনেছি।
ওই দোকানে আবির কিনছিলেন ইন্দপুরের আড়ালডি এলাকার ব্যবসায়ী রাজীব সেবাইত। তিনি বলেন, ঝুঁকি নিয়ে বেশি লাল আবির এবার কিনছি না। গ্রামাঞ্চলে সবুজ এবং গেরুয়া আবিরের চাহিদা অনেক বেশি। লাল আবির মানুষ কিনতে চাইছে না।
সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, বাজারে কোন আবিরের চাহিদা বেশি বা কম সে সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। তবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় বামেরা যে বাঁকুড়ায় ভালো ফল করবে তা হলফ করে বলতে পারি। ফল যাই হোক বামেরা শৃঙ্খলা মেনে চলবে।
তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, গত কয়েকবছর ধরেই বিভিন্ন ভোটের ফলপ্রকাশের পর বাজারে সবুজ আবিরের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। জেলায় আমরা আশানুরূপ ফল করব। কারণ সারাবছর যারা নিয়মমাফিক পড়াশোনা করে তারাই পরীক্ষায় ভালো ফল করে। ফলে বাঁকুড়াকে সবুজ আবিরে মানুষ রাঙিয়ে দেবে। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখব।
বাঁকুড়া লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার বলেন, মানুষ এবার আমাদের দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছে। ফলে বিজেপি যে আগের তুলনায় অনেক ভালো ফল করবে তা জেলাবাসী বুঝতে পেরেছে। বাঁকুড়া শহর সহ জেলার সব জায়গায় গেরুয়া আবির ওড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিজেপি কর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করবে।