গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী সূর্যকান্ত মিশ্রকে হারিয়ে প্রায় ১৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন তৃণমূলের প্রদ্যোৎ ঘোষ। তৃণমূল পেয়েছিল ৯৯ হাজার ভোট। সিপিএম ৮৫ হাজার ও বিজেপি ১০ হাজার ভোট পেয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের ভোট বেড়ে হয় ১ লক্ষ ১৭ হাজার। সিপিএমের ভোট কমে দাঁড়ায় ২৪ হাজার। আর বিজেপির ভোট বেড়ে হয় ৪৩ হাজার। যদিও পঞ্চায়েত ভোটকে হিসেবের মধ্যে ধরতে নারাজ সিপিএম ও বিজেপি। তাদের মতে, পঞ্চায়েতে অনেক ভোটার ভোট দিতে পারেননি। এমনকী, অনেকে নিজের ভোট নিজে দিতে পারেননি।
ভোটের আগে সূর্যকান্ত মিশ্রের সভায় পরোক্ষভাবে বামের ভোট রামে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ উঠে আসে। সূর্যবাবুকে বলতে শোনা যায়, যাঁরা মনে করছেন, এবার বিজেপিকে ভোটটা দিয়ে তৃণমূলকে টাইট দেবেন, তাঁরা ভুল করছেন। তিনি ত্রিপুরার প্রসঙ্গও টেনে এনেছিলেন। কারণ, পঞ্চায়েতে দলের একটা অংশের ভোট বিজেপিতে চলে গিয়েছিল বলে নেতৃত্ব এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছিলেন। এই ভোটেও তা হতে পারে বলে একটা আভাস দলের কাছে ছিল। তাই সূর্যবাবু থেকে দলের অন্যান্য নেতারা তাঁদের বক্তব্যে কর্মীদের সেই চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাতে না কি কাজ হয়নি। ভোটের দিন কোথাও সেভাবে সিপিএম কর্মীদের দেখা যায়নি। ভোটটা হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই।
নারায়ণগড়ের সিপিএম নেতা ভাস্কর দত্ত ভোটের পর তা একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তিনি আশাবাদী যে পঞ্চায়েতের চেয়ে এবার দলের ভোট বাড়বে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছেন। সেই কারণে পঞ্চায়েতের চেয়ে আমাদের ভোট বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। তাঁর মতে লাগাতার সন্ত্রাসের ফলে রাস্তায় নেমে সিপিএম কর্মীদের কাজ করার মতো পরিবেশ ছিল না। আমাদের কর্মীরা যতটা পেরেছেন করেছেন।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ বলেন, ভোটের আগে ভাবা গিয়েছিল, এবার ব্যবধান বাড়বে। কিন্তু ভোটের দিন যেভাবে বামের ভোট রামে চলে যাওয়া দেখলাম, তাতে বলা যায় বিধানসভার লিড ধরে রাখা যাবে না। ভোটের দিন বামেদের মাঠে দেখা যায়নি। তাদের একটা বড় অংশের ভোট বিজেপিতে গিয়েছে।
দলের আর এক নেতা জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ সূর্য অট্টও বলেন, বামের ভোট রামে চলে যাওয়ায় আমাদের লিড কমবে। অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সম্পাদক অরূপ দাস বলেন, এবার দলের প্রার্থী রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষ এই বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হবেন। তিনি বলেন, ১৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৩টি পঞ্চায়েত এলাকায় আমাদের ভালো ভোট হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমাদের জয় কেউ আটকাতে পারবে না।