বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পার্থবাবু আরও বলেন, খুব আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলছি, বীরবাহা সরেন টুডু জিতবেই। আমাদের যে অ্যাসেসমেন্ট, তাতে আমরা ঠিকই আছি। কোনও চিন্তা নেই। বীরবাহা এখান থেকে ভালো ভোটে জিতবে। তবে জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও ব্যবধান নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি দলীয় মহাসচিব। তিনি বলেন, আমি গণৎকার নই যে হাত দেখে বলব। দেখা যাক না শেষ পর্যন্ত। তিনি বলেন, বিজেপি টাকা দিয়ে লোকজন জোগাড় করে লাড্ডু বিলি করছে। দু’দিনে সব ফক্কা হয়ে যাবে। পার্থবাবু বলেন, সামনে ভোট গণনা, অপপ্রচার, প্রচুর অর্থ যেরকমভাবে উড়ছে, সে সর্ম্পকে নেতা-কর্মীদের ওয়াকিবহাল করা, সতর্ক করা হয়েছে। এসব নিয়েই আলোচনা হয়েছে। স্ট্রং রুম নিয়ে আমরা সতর্কতা নিচ্ছি। আমাদের কর্মীরা পার্টির টাকা দেওয়া কর্মী নয়। তারা জান দিয়ে পতকা ধরে।
তিনি বলেন, বিপর্যয় বলে আমাদের অভিধানে কিছু নেই। আমরা সারা বছর ধরে কাজ করি। কোথাও কোথায় যদি সাময়িকভাবে কিছু হয়, তার মোকাবিলা করার ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করছে। শালবনী এলাকায় পদ্মফুলে ছাপ দেওয়ার কথা বলেছে। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখছি, আমরা চোখ রাঙানিও দেখছি। আমরা নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দেখছি। আমাদের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা এটাও জানি, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে চায়, তাঁর হাত শক্ত করতে চায়।
এদিন মাধ্যমিকে রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করা ঝাড়গ্রামের শুভদীপ মাজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিকেলে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতারা শুভদীপকে ঝাড়গ্রামে নিয়ে আসে। শিক্ষামন্ত্রী তার সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানান। পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে আগামী দিনে সে কী হতে চায় তা জিজ্ঞাসা করেন শিক্ষামন্ত্রী। হাতের কাছে শিক্ষামন্ত্রীকে পেয়ে শুভদীপের মা কৃষ্ণা মাজি বলেন, ছেলে ডাক্তার হতে চায়। তাই আমরা চাইছি কলকাতার নরেন্দ্রপুরের স্কুলে ভর্তি করতে, তাহলে জয়েন্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে। ওর ইচ্ছে সম্পূর্ণ হবে। মায়ের মুখে একথা শুনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা ওর ফর্ম ফিলআপ করুন। বাকিটা আমি দেখে দেব।