পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে, রাজ্যে স্থান না পেলেও জেলার সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র তথা বিহারের বাসিন্দা সৌম্য কুমার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮০। মাত্র এক নম্বরের জন্য সে মেধা তালিকায় স্থান করতে পারেনি। বড় হয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় সৌম্য। বর্তমানে রাজস্থানের কোটা এলাকায় কোচিংয়ে থাকায় এদিন স্কুলে এসে রেজাল্ট নিতে পারেনি সে। অন্যদিকে পুরুলিয়া শহরের শান্তময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী অন্নপূর্ণা মাহাত ৬৭৫ নম্বর পেয়ে জেলায় মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে। বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায় শহরের দুলমি এলাকার বাসিন্দা এই মেধাবী ছাত্রী। মেধাতালিকা থেকে কয়েক নম্বরের জন্য ছিটকে গিয়েছে জেলার আরও একাধিক ছাত্রছাত্রী। পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান শিক্ষক স্বামী গতিদানন্দ মহারাজ বলেন, আমাদের ছাত্র সৌম্য মাত্র এক নম্বরের জন্য মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। আরও অনেকে খুব কাছাকাছি নম্বর পেয়েছে। পুরুলিয়া জেলার ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার খাতা প্রতিবার একই জেলায় যাওয়ায় সেখানকার পরীক্ষকরা সঠিক মূল্যায়ন না করায় এই সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। পরীক্ষার খাতা বিভিন্ন জেলায় রোটেশন করে পাঠানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
এবিষয়ে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তারাপদ গোস্বামী বলেন, জেলায় পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের চূড়ান্ত প্রস্তুতির ক্ষেত্রে খামতি থাকছে। পরীক্ষার খাতা রোটেশন করা অবশ্যই প্রয়োজন। তবে চুড়ান্ত সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে জেলার ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজেদের দুর্বলতা খুঁজে বের দরকার। এবিষয়ে পুরুলিয়া জেলা স্কুলেরই ইতিহাসের শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার বলেন, জেলার একজনও মেধা তালিকায় স্থান না পাওয়ায় শিক্ষক হিসেবে আমি হতাশ। তবে এক্ষেত্রে আমি আত্মসমীক্ষাতেই বিশ্বাসী। পরিশ্রমী পড়ুয়া, সচেতন অভিভাবক এবং সংকল্পবদ্ধ শিক্ষক এই তিনের সমন্বয় ছাড়া পরীক্ষার্থীর পক্ষে নিখুঁত প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন। এছাড়া জেলায় পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির মানের বৈষম্য অনেক। একে অপরকে টপকে যাওয়ার প্রতিযোগিতা জেলাতে সীমিত পরিসরে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। যখনই এর ব্যতিক্রম হয়েছে তখনই পুরুলিয়া জেলা থেকে একাধিকজন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে।
অন্যদিকে, পুরুলিয়ার চেক্যা হাইস্কুলের শিক্ষক বিকাশ মাহাত বলেন, পুরুলিয়া জেলার পরীক্ষার্থীদের খাতা যে জেলায় যায় তার পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। জেলায় মেধার কোনও খামতি নেই। তবে চুড়ান্ত সফলতার জন্য ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে আমাদের মতো শিক্ষকদেরও সমস্যার উৎস খুঁজে বের করে আরও সচেষ্ট হতে হবে।