বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পাশের বাড়িতে টিভিতে মাধ্যমিকের খবর শুনছিলেন সৌকর্য্যর বাবা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস। তিনিই প্রথম বাড়িতে ছুটে এসে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে সুখবর দেন। বক্রেশ্বর কলোনিতেই বাড়ি তাঁদের। মুহূর্তের মধ্যে এই সুখবর কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। অভিনন্দনের বন্যা বয়ে যায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজেকে সব সময়ে পড়াশোনায় ডুবিয়ে রাখত না সে। অবসর সময় পেলেই বাঁশি বাজাত মনের আনন্দে। এছাড়া খেলার মাঠেও সে পারদর্শী। দৌড়ে নানা জায়গা থেকে পদক জিতেছে সে। বাড়িতে পদকের সংখ্যাও প্রচুর। তার বিষয় ভিত্তিক নম্বরগুলি হল বাংলায় ৯৩, ইংরেজি ৯৮, অঙ্ক ১০০, পদার্থবিজ্ঞান ৯৮, জীবন বিজ্ঞান ৯৭, ইতিহাস ৯৭ ও ভূগোল ৯৯। মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২। অঙ্ক ছাড়া প্রতি বিষয়েই তার গৃহশিক্ষক থাকলেও সে কিন্তু অভিনব এক প্রস্তুতির কথা বলেছে। সে জানিয়েছে, টেস্ট পরীক্ষার পর ঠিক যে সময়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয় অর্থাৎ ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত বিভিন্ন টেস্ট পেপারে পরীক্ষা দিত। তার দাবি এতে সে পরীক্ষায় খুবই উপকার পেয়েছে। সৌকর্য্য বলে, রসায়নের অধ্যাপক হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে আমার। ছেলের সাফল্যে আপ্লুত মা সঞ্চিতা বিশ্বাসও।
অন্যদিকে মেধা তালিকায় দশম স্থান পেয়েছে সদর শহর সিউড়ির অরিত্র মাহারা। ছোট থেকেই সরস্বতী শিশু মন্দিরের ছাত্র হলেও মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সিউড়ি নেতাজি বিদ্যাভবন থেকে। বাবা ক্যাটারিংয়ের কর্মী। মা টিউশনি পড়ান। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যুইজে অংশগ্রহণ করতেও ভালোবাসে সে। এর পাশাপাশি সে প্রশাসনিক কর্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় অভূতপূর্ব সাফল্য লাভের পর সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে চায়। তার বিষয় ভিত্তিক ফল হল বাংলা ৯৬, ইংরেজি ৯৮, অঙ্ক ১০০, পদার্থ বিজ্ঞান ৯৭, ইতিহাস ৯৫, ভূগোল ৯৮ ও জীবন বিজ্ঞানে ৯৭। মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৮১। এদিকে জেলার কৃতীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলশাসক মৌমিতা গোদারা। বিশেষ করে একজনের আইএএস হওয়ার স্বপ্নের কথা জানতে পেরে তিনি বলেন, এটা খুবই খুশির খবর।