কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চারদিন আগেই হাই মাদ্রাসার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। সেই পরীক্ষায় জেলার জয়জয়কার হয়েছিল। রাজ্যে সেরা দশজনের মেধা তালিকায় স্থান পায় জেলারই ন’জন ছাত্রছাত্রী। এবার মধ্যমিক পরীক্ষাতেও জেলার ফলাফল ভালো হয়েছে। কান্দির রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুমানা সুলতানা রাজ্যে পঞ্চম স্থান পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। প্রতিটি বিষয়েই তার গ্রেড-‘এএ’। এবার জেলায় পাশের হারও বেড়েছে। এনিয়ে ছাত্রছাত্রী সহ অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা উচ্ছ্বসিত। এদিন জেলার বিভিন্ন স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। সফল ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানায় বিভিন্ন মহল।
ফুরকান সাহেব বলেন, গত বছর মাধ্যমিকে জেলায় পাশের হার ৮০.৪৭শতাংশ থাকলেও রাজ্যের মেধা তালিকায় কোনও ছাত্রছাত্রীর স্থান ছিল না। এবার রাজ্যের মেধা তালিকাতেও স্থান মিলেছে। জেলায় পাশের হারও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১.১৪শতাংশ। কাজেই, এবার মাধ্যমিকে জেলায় ছাত্রছাত্রীদের ফলাফল প্রশংসনীয়। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) পূরবী বিশ্বাস দে বলেন, এবার মাধ্যমিকে জেলার ছাত্রছাত্রীরা ভালো ফল করেছে। সকলকে অভিনন্দন জানাই।
এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা ফল ঘোষণা হওয়ার পরই জেলার প্রতিটি স্কুলে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা ভিড় করেন। এদিন বহরমপুর শহরের মহারানি কাশীশ্বরী গার্লস হাই স্কুলে ক্যাম্প করে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে রেজাল্ট বণ্টন করা হয়। এই কাজ সুষ্ঠুমতো করতে সেখানে একটি সহায়তা কেন্দ্র করেছিল পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। সেখানে শিক্ষক নেতা নাজিমুদ্দিন আহমেদ, প্রবীর ভট্টাচার্য, হেলালউদ্দিন আহমেদ, দিলীপ দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, এখান থেকে জেলার ৫৪৪টি স্কুলের কাছে রেজাল্ট বণ্টন করা হয়েছে। এজন্য এখানে দু’টি কাউন্টার করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, এবার জেলায় মাধ্যমিকে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি হলেও ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীদের পাশের হার কম। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮২হাজার ১২৮জন। এরমধ্যে ছাত্র ও ছাত্রীর সংখ্যা যথাক্রমে- ৩১হাজার ৭৭৮ এবং ৫০হাজার৩৫০জন। কিন্তু, ছাত্রদের পাশের হার ৮৯.৪১শতাংশ হলেও ছাত্রীদের পাশের হার ৭৫.৯৩শতাংশ। ফুরকান সাহেব বলেন, রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের জেরেই মেয়েদের মধ্যে পড়াশোনার আগ্রহ বেড়েছে। কিন্তু, আর্থসামাজিক অবস্থা সহ বিভিন্ন কারণে মেয়েরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিছুটা দুর্বল রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি, মেয়েদের পঠনপাঠনের মান বাড়ানোয় জোর দেওয়া হবে। এব্যাপারে রাজ্য সরকারকে জানাব।
এছাড়া, এবার বেশ কিছু স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বাংলা, অঙ্ক, ভৌতবিজ্ঞান ও জীবন বিজ্ঞানের প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে প্রত্যাশামতো নম্বর মেলেনি। গোরাবাজার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত দত্ত বলেন, আমাদের স্কুলে ৬৭৫নম্বর পেয়ে আর্য মণ্ডল প্রথম হয়েছে। অঙ্ক, ভৌতবিজ্ঞান ও জীবন বিজ্ঞানে সে চাহিদা মতো নম্বর পায়নি। তা মিললে সেও রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান পেত। মহারানি কাশীশ্বরী গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা চৈতালী চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় এবার প্রায় অধিকাংশ ছাত্রীর নম্বর চাহিদা মতো মেলেনি।