রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সাহিত্যিকার বাড়িতে টিভি নেই। দাদা সাহিত্য ঘোষ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া। তিনি মোবাইলে পর্ষদ সভাপতির সাংবাদিক বৈঠক দেখার পর বাড়িতে সুখবর দেন। বাড়িতে পড়াশোনার ব্যাঘাত এড়ানোর জন্যই টিভি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাহিত্যিকা বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৯৮, অঙ্কে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৬, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯৮ ও ভূগোলে ৯৮নম্বর পেয়েছে। ভবিষ্যতে দাদার মতোই সাহিত্যিকা চিকিৎসক হতে চায়।
বর্ধমান শহরে বড়নীলপুর এলাকায় বাড়ি অয়ন্তিকা মাজির। বর্ধমান বিদ্যার্থীভবন বালিকা বিদ্যালয়ে সাহিত্যিকা ও অয়ন্তিকার দারুন প্রতিযোগিতা ছিল। অয়ন্তিকার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। সে বাংলায় ৯৬, ইংরেজিতে ৯৯, অঙ্কে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ১০০, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৬, ইতিহাসে ৯৭ ও ভূগোলে ৯৫নম্বর পেয়েছে। সাহিত্যিকার মতো অয়ন্তিকাও ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। মঙ্গলবার দু’জনেই নিজেদের স্কুলে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে।
মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় সম্ভাব্য অষ্টম পুষ্কর ঘোষ ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। ওই কৃতী ছাত্র গোটা কাটোয়া মহকুমার মুখ উজ্জ্বল করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। পুষ্কর বাংলায় ৯৮, ইংরেজিতে ৯৫, অঙ্কে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৯৫ ও ভূগোলে ৯৯ নম্বর পেয়েছে। গত কয়েকবছর ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে কাটোয়ার কাশীরাম দাস বিদ্যায়তন। কাটোয়া পুরসভার ১২নম্বর ওয়ার্ডে সুবোধ স্মৃতি রোডে বাড়ি পুষ্করের। ভালো ফলের আশায় মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরঘরে বসেছিল পুষ্কর। পর্ষদ সভাপতির সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন মেধা তালিকায় ছেলের নাম শুনে মা প্রথম খবর দেন পুষ্করকে। কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় খবর পেয়ে ওই কৃতী ছাত্রের বাড়িতে যান।
মেধা তালিকায় সম্ভাব্য দশম স্থানাধিকারী মেমারির বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দির(ইউনিট-১)এর ছাত্র সৌম্যদীপ ঘোষ ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। বাবা স্বপন ঘোষ কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নিমো শাখার ম্যানেজার। সৌম্যদীপ বলে, টিভিতে নিজের নাম দেখে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। সত্যিই ভীষণ ভালো লাগছিল। সৌম্যদীপ বাংলায় ৯৩, ইংরেজিতে ৯৭, অঙ্কে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৮, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৬ ও ভূগোলে ৯৯নম্বর পেয়েছে।
পানাগড় রামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলের ছাত্রী সায়ন্তিকা রায় রাজ্য মেধা তালিকায় সম্ভাব্য দশম স্থানাধিকারী। ওই কৃতী ছাত্রী গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে। তার এই সাফল্যে খুশি এলাকার বাসিন্দারা। সায়ন্তিকা বাংলায় ৯৮, ইংরেজিতে ৯৩, অঙ্কে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৮, জীবন বিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাসে ৯২ ও ভূগোলে ১০০নম্বর পেয়েছে। আগামীদিনে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ওই কৃতী ছাত্রীর। বাবা রানা রায় রাজ্য সরকারের কারিগরি শিক্ষাদপ্তরে কর্মরত। সায়ন্তিকা বলে, সারাদিনে সাত-আট ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম। তবে রাত জেগে কখনও পড়াশোনা করিনি। স্কুলে শিক্ষকরা আমাকে ভীষণ সহযোগিতা করেছেন। পাশাপাশি বাড়িতে প্রতিটি বিষয়ে একজন করে গৃহশিক্ষক ছিলেন। তবে এই রেজাল্ট আমার প্রত্যাশিত ছিল না। পড়াশোনার পাশাপাশি আমি নাচ, গান করতে ভালোবাসি। পাশাপাশি ছবি আঁকতে ভালো লাগে।