যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এদিন সকালে ৭টা ২০মিনিটের ডাউন রানাঘাট-শিয়ালদহ লোকাল কল্যাণী স্টেশন থেকে রানাঘাটে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি রেল অবরোধের কারণে রানাঘাট থেকে সকাল ৯টা ২৭মিনিটের আপ শিয়ালদহ-গেদে লোকাল বাতিল করা হয়। অবরোধের ফলে এদিন সকাল থেকে রানাঘাট, পায়রাডাঙা, শান্তিপুর, কালীনারায়ণপুর, তাহেরপুর, বগুলা, আড়ংঘাটা সহ বিভিন্ন রেলস্টেশনে ডাউন লাইনে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে।
রেল অবরোধের জেরে এদিন আপ ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেসও আড়াই ঘণ্টা দেরিতে চলে। আপ হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস ও ডাউন ভাগীরথী এক্সপ্রেসও দু’ঘণ্টা দেরিতে রানাঘাট স্টেশনে পৌঁছয়। এবিষয়ে রানাঘাট স্টেশন ম্যানেজার তুষ্টলাল ভক্ত বলেন, এদিন দুপুরের পর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
রানাঘাট থেকে গেদে, বনগাঁ, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর শাখার ট্রেন চলাচল করে। এদিন রেল পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েন সব্জি, মাছ সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা। মাছ ব্যবসায়ী রতন দাস বলেন, সকালে রানাঘাট স্টেশন দিয়ে মাছ নিয়ে বীরনগরের বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু এদিন ট্রেন দেরিতে চলার কারণে সকাল দশটার সময় সেই মাছ নিয়ে রানাঘাট স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, লোকসান হল।
এদিন রানাঘাটে আড়ৎ থেকে সব্জি কিনে পালপাড়া স্টেশনে যান মহিলা ব্যবসায়ী আরতি মণ্ডল। এদিন পালপাড়ার বাজারে যেতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বেলতলার বাসিন্দা নিত্যযাত্রী শৈলেন কুণ্ডু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভোটে অশান্তির শিকার হলেন সাধারণ যাত্রীরাও। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ রেল চলাচল শুরু হলেও ডাউন লাইনে শিয়ালদহগামী বিভিন্ন লোকাল ট্রেন ব্যাপক ভিড় ছিল।