যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে গরম বাড়ে। তাপমাত্রা ছিল ৪০ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। তার উপর রমজান মাস। এই অবস্থায় রোদ উপেক্ষা করেই মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন রোজা রাখা তৃণমূল কর্মীরা। এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মহুলা-২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯নম্বর বুথের সামনে ছিল ঝান্ডাবিহীন একাধিক টোটো। তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে দু’টি টোটোর চালক বলেন, গ্রাম থেকে অসুস্থ ও বয়স্ক ভোটারদের বুথে আনছি।
সকাল ৯টা নাগাদ মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২২নম্বর বুথে তৃণমূল ও আরএসপি প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন। অন্য কোনও প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন না। এখানে তৃণমূল রুটি-মাংস খাইয়ে ভোটের ময়দান নিয়ন্ত্রণ করেছে। যার দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের মার্জেন মণ্ডল। তিনি বলেন, এখানে তৃণমূল ছাড়া কেউ নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী একটু বাড়াবাড়ি করলেও ভোট নিঃশব্দে হয়েছে। সাড়ে ৯টা নাগাদ রায়পুরে ১১৬নম্বর বুথে ভোটারদের ভিড় ছিল। বাড়ি ফেরার পথে ভোটারদের মিষ্টির প্যাকেট ও শরবত দেওয়া হয়। ভোটাররা বলেন, ঘরের ছেলে জেলা পরিষদের সদস্য সঞ্জয় হালদার এই আয়োজন করেছেন। জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৃণমূলের ব্লক কার্যনির্বাহী সভাপতি সঞ্জয়বাবু অবশ্য বলেন, সমস্ত গ্রামবাসী আমার আত্মীয়। প্রচণ্ড গরমে তেষ্টা মেটানোর জন্যই শরবত ও মিষ্টি দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে ভোটের সম্পর্ক নেই। নওদা, কেদারচাঁদপুর, বালি, বেলডাঙার চৈতন্যপুর, মাড্ডা সহ সমস্ত এলাকাতেই একইভাবে ভোট করেছে তৃণমূল। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির কোথাও ভোটারদের কলা-পাউরুটি, আবার কোথাও ঘুগনি-মুড়ি ও লেবু-জল বিলি করা হয়েছে।
অপরদিকে, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পাটিকাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুরে ২৩৭ ও ২৩৮নম্বর বুথের সামনে ছিল ভোটারদের লম্বা লাইন। কোলের বাচ্চা সহ ৮-১০বছরের ছেলেমেয়েদের নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন মহিলারা। সংশ্লিষ্ট দু’টি বুথে কংগ্রেস ভেল্কি দেখানোর চেষ্টা করলেও তৃণমূলের মহিলা বুথ এজেন্ট সক্রিয় ছিলেন। এখানে ঝান্ডাবিহীন টোটোয় ও বাইকে ভোটারদের নিয়ে আসে কংগ্রেস। তারা ভোটারদের মধ্যে চকোলেটও বিলি করে। এভাবে কয়েকটি বুথে কংগ্রেস খেলা দেখানোর চেষ্টা করলেও দুপুরের পর তাদের কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। বিজেপি ও আরএসপিকে দুপুরের পর ময়দানে সেভাবে দেখা যায়নি। সেই সময় সমস্ত দলের অধিকাংশ নির্বাচনী বুথ কার্যালয় ছিল ফাঁকা। তবে, বুথের কাছে তৃণমূলীদের জটলা ছিল।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নওদায় লোকসভা ভোট হয়। শেষ মুহূর্তে দু’টি জায়গা থেকে মারপিটের অভিযোগ মিলেছে। কংগ্রেস প্রার্থী সুনীল মণ্ডল বলেন, সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করেও তৃণমূল সফল হয়নি। কয়েকটি বুথে এজেন্ট দিতে না পারলেও মানুষ ভোট দিয়েছেন। রায়পুরে ৯৫নম্বর বুথে কংগ্রেস কর্মী সুশান্ত মণ্ডলকে মারধর করা হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী অনুপম মণ্ডলও দাবি করেন, আক্রান্ত ওই কর্মী তাঁদের। আরএসপি প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, বালি-২গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩০নম্বর বুথে আমাদের কর্মী মহাতাব শেখকে মারধর করেছে তৃণমূল। তা হলেও ভোট ভালো হয়েছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, বালিতে বিনা কারণে আমাদের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধর করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরজেরে সেখানে সামান্য উত্তেজনা ছড়ালেও আরএসপির কোনও কর্মীকে মারধর করা হয়নি। রায়পুরে কংগ্রেস ও বিজেপি যৌথভাবে বুথ দখলের চেষ্টা করলে তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেন। এতে উত্তেজনা ছড়ালেও কাউকে মারধর করা হয়নি। হার বুঝতে পেরে বিরোধীরা অপপ্রচার করছে।