যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
বর্ধমান ও নদীয়ার মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই ফেরিঘাট। ঘাট পেরিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটে সহজেই কৃষ্ণনগর বা রানাঘাট পৌঁছে যাওয়া যায়। প্রতিদিন এই ফেরিঘাটে প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষের পাশাপাশি যানবাহন পারাপার হয়। ইজারার মাধ্যমে এই পরিষেবা দেয় কালনা পুরসভা। ফেরিঘাটে পানীয় জল, আলো, জেটির ব্যবস্থার পাশাপাশি সর্বক্ষণের জন্য রয়েছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। প্রতি বছর গরম পড়লেই ভাগীরথী নদীতে জল কমতে থাকে। ফলে বছরের মে ও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত নদীতে জল কম থাকায় নদীতে যত্রতত্র চর পড়ে যাওয়ায় ফেরি পরিষেবা বিঘ্নিত হয়। ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ খুব সাবধানে ফেরি পরিষেবা দেয়। বিশেষ করে জোয়ারের সময় সমস্যার সম্মুখীন না হলেও বিকেল গড়াতেই ভাটার সময় নদীতে চর জেগে ওঠে। দিনের আলোয় চর দেখে মাঝিরা সাবধানে নৌকা চালালেও রাতের অন্ধকারে সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এবার অন্য বছরের তুলনায় জল কম থাকায় সমস্যা আরও বেড়েছে। শনিবার রাতের বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বহু যাত্রী। তাই নদীর জল কমে যাওয়া ও নদীতে চর জেগে ওঠায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের।
কালনা ফেরিঘাটের ইজারাদার তপন সাহা বলেন, বছর কয়েক ধরে এই সময় নদীতে জল কম থাকে। এবার যেন অন্যবারের তুলনায় জল অনেকটাই কম। কালনার দিকের অংশে নদীর গভীরতা থাকলেও নদীর মাঝ অংশে ও শান্তিপুরের দিকে নদীতে চর জেগে উঠছে। ফলে নদীর চরে ঠেকে যাওয়ার ভয়ে নৌকা কিছুটা দূরত্বে ঘুরিয়ে সাবধানে পারাপার করতে হচ্ছে। ভেসেলে গাড়ি পারাপারে খুবই সমস্যা হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে নদীতে ভাটা থাকায় জল কমে যায়। সেইসময় কখনও কখনও ভেসেল বন্ধ রাখতে হয়। এনিয়ে আমরা অতীতে মহকুমা প্রশাসন ও পরিবহণ দপ্তরকে সব জানিয়েছি। এমনকী নবান্নেও জানানো হয়েছে। আমরা মনে করি অবিলম্বে নদীতে ড্রেজিং করা না হলে কয়েক বছরের মধ্যে এই ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে যাবে। প্রশাসনের এদিকে নজর দেওয়া উচিত।
এব্যাপারে কালনার মহকুমা শাসক নীতেশ ঢালি বলেন, এনিয়ে ভোটের আগে রাজ্যের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।